ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সৌদি আরব Triple m Constitution পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ ৯৩ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সৌদি আরব Triple m Constitution পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।

মো লুৎফুর রহমান রাকিব স্টাফ রিপোর্টার

পবিত্র মক্কা শরীফে ওমরা পালন করে পবিত্র মদিনার শরীফে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম Triple m Constitution ফরিদ পুরে কৃতি সন্তান ও স্বনামধন্য সুপারভাইজার মো আমিন ভাই বলেন প্রত্যেক জাতির নিজেদের বিশেষ বিশেষ কিছু উৎসব আছে। এসব উৎসব বা পর্ব ঐসব জাতির পরিচয় বহন করে। কোনো কোনো জাতির লোকেরা নিছক আনন্দ পাওয়ার জন্য উৎসব পালন করে। কেউবা ঐসব জাতির বা গোষ্ঠীর স্বার্থগত বা ঐতিহ্যগত পরিচয় প্রকাশের জন্য উৎসব পালন করে। ইসলামী সংস্কৃতির অনন্য উৎসব ঈদ। এটি চিরাচরিত কোনো পর্ব নয়। দুনিয়ার অন্যান্য জাতির পর্ব বা উৎসব থেকে তা সম্পূর্ণ আলাদা। এই উৎসব না কোনো গোষ্ঠীগত স্বাতন্ত্র্য প্রকাশ করার জন্য পালন করা হয়, না কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে পালন করা হয়। বরং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত হিসাবে পালিত হয় এই উৎসব।পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ও সৌদি আরব প্রবাসী ও সকল দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন,
শুভেচ্ছা triple m Constitution কর্মচারী সাংবাদিক লুৎফুর রহমান রাকিব ফোরম্যান, সিনিয়র মো মহিন উদদীন রাব্বি. মো সালাউদ্দিন মো বেলাল হোসেন জুনিয়র মো হাছান মো আবুল রহিম মো সিয়াম বেপারী মো কামাল হোসেন মো আলম মো শাহআলম মো সুমন মো মারুফ বলেন, ঈদ মানে আনন্দ, খুশি। তবে ঈদের সঠিক অর্থ বারবার আসা। ঈদ যেহেতু সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীতে বারবার আসে সেহেতু ঈদকে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। ঈদ পর্বটি নিয়ে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। সুনানে আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত হজরত আনাস (রাঃ) বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন মদিনায় হিজরত করেন তখন সেখানকার লোকেরা দু’টি দিনকে বিশেষ দিন বা পর্ব হিসেবে পালন করতো। ঐদিন তারা খেলাধুলা ও আমোদ-ফুর্তি করতো। মহানবী (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, এ দু’টি দিন কি? এমন কী কারণ আছে যে, তোমরা এদিন দু’টি পালন করছো? তখন লোকেরা বলল, এ দুটি দিন এমন দিন, যা আমরা জাহিলিয়াতের যুগে পালন করতাম। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদেরকে এগুলোর বদলে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো দু’টি মহান দিন দিয়েছেন। তোমরা এগুলো পালন করবে। অতএব, আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি বরকত ও মঙ্গলময় দিন হিসেবে ঈদ উৎসব মুসলমানদের প্রতি নির্দেশিত হয়েছে। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ ও মুক্তির দিন হিসাবে ঈদ পর্ব দু’টি আমাদের জীবনে এসেছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলিম জীবনে একটি অনন্য দিন। এক মাস রোজা পালনের পর আসে এই ঈদ। রোজা পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা নিজেদের পাপ ও পাশবিক প্রবৃত্তি দমন করে উৎসব হিসেবে পালন করে ঈদ। এ উৎসব পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা আখিরাতে নাজাত পাওয়ার প্রয়াস পায়। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তারা যে গুণাবলি ও প্রশিক্ষণ অর্জন করে ঈদ উৎসব পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা তাকে পরিপূর্ণ করে। এই উৎসব মানুষে মানুষে যে বিভেদের প্রাচীর তৈরি হয়, তাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ, রাজা-প্রজা, মালিক-শ্রমিকের ভেদাভেদ ভুলে মানুষ সেদিন একাকার হয়ে যায়। ঈদের দিনটি একজন মুমিনের জন্য বড় আনন্দের দিন। পরম প্রাপ্তির দিন। হজরত সাদ বিন আওস আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ঈদুল ফিতরের দিন ফেরেশতারা রাস্তার প্রতিটি গেটে দাঁড়িয়ে যায় এবং মুসলমানদেরকে ডেকে বলে, ‘হে মুসলমানগণ! তোমরা তোমাদের সেই পরম দাতা প্রভুর দিকে চল যিনি নিজ কৃপায় তোমাদেরকে শান্তি ও মঙ্গলের শিক্ষা দেন, তার ওপর আমল করার শক্তি দেন, অতঃপর এর ওপরই তোমাদেরকে পুরস্কৃত করেন। তোমাদেরকে তিনি রাতে নামাজে দাঁড়ানোর হুকুম করেছেন তোমরা তা পালন করেছো। তিনি তোমাদেরকে দিনের বেলায় রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তোমরা তাও পালন করেছো। তিনি তোমাদেরকে আরো যে সব হুকুম করেছিলেন তোমরা তা পালন করেছো। অতএব, এখন তোমরা সেই মহান দাতা আল্লাহ তা’য়ালার সাথে সাক্ষাৎ করে ঐসব ইনাম ও পুরস্কারাদি নিয়ে এসো যা তিনি তোমাদের ঐ সমস্ত পুণ্য কর্মের ওপর নির্ধারণ করে রেখেছেন।

অতঃপর যখন মুসলমানরা তাদের নামাজ শেষ করে। তোমরা ভালো ভাবে জেনে রাখ, নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রভু তোমাদেরকে যথাযথভাবে পুরস্কৃৃত করেছেন, অতএব এখন তোমরা শান্তি ও মঙ্গলে ধন্য হয়ে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যাও। অতএব, ঈদের দিন প্রতিদান ও পুরস্কার লাভের দিন। এ কারণে আসমানেও এ দিনের নাম ‘ইয়ামুল জায়িযাহ’ বা ইনাম প্রাপ্তির দিন। (তারবানি)।
ঈদ উৎসব শুধু ধনীর জন্য নয়। মুসলিম সমাজের প্রতিটি মানুষ গরিব দুঃখী অসহায় সবাই সমানভাবে এতে অংশ নিতে পারে। সুতরাং ঈদের এই উৎসব শুধু আনন্দ উৎসব নয়, বরং এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ উৎসব যা ইবাদতের শামিল।
ঈদুল ফিতরে করণীয়
ঈদুল ফিতরের দিন নিচের কাজগুলো পরিপালন করা ইসলামী শরিয়াহর নির্দেশিত হয়েছে। ঈদ উৎসব শুরু হয় মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার মধ্য দিয়ে। আর তা সালাতুল ঈদ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ঘোষিত হতে থাকে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈদের চাঁদ দেখবে তার উচিত পরের দিন ইমাম ঈদগাহে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত যেন তাকবির পড়ে।হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঈদগুলোকে তাকবির,
আল্লাহু আকবার ধ্বনি) দ্বারা সুসজ্জিত করো। তাকবির অর্থ হচ্ছে আল্লাহ’র শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করা। তাকবিরের ভাষা হচ্ছে, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ, এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা। এ উৎসবের অন্যতম পর্ব হচ্ছে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। এখানেও উচ্চারিত হয় আল্লাহতালার শ্রেষ্ঠত্ব ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে,triple m Constitution
পক্ষ থেকে জানাই শ্রমিক ভাইদের পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সৌদি আরব Triple m Constitution পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সৌদি আরব Triple m Constitution পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।

মো লুৎফুর রহমান রাকিব স্টাফ রিপোর্টার

পবিত্র মক্কা শরীফে ওমরা পালন করে পবিত্র মদিনার শরীফে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম Triple m Constitution ফরিদ পুরে কৃতি সন্তান ও স্বনামধন্য সুপারভাইজার মো আমিন ভাই বলেন প্রত্যেক জাতির নিজেদের বিশেষ বিশেষ কিছু উৎসব আছে। এসব উৎসব বা পর্ব ঐসব জাতির পরিচয় বহন করে। কোনো কোনো জাতির লোকেরা নিছক আনন্দ পাওয়ার জন্য উৎসব পালন করে। কেউবা ঐসব জাতির বা গোষ্ঠীর স্বার্থগত বা ঐতিহ্যগত পরিচয় প্রকাশের জন্য উৎসব পালন করে। ইসলামী সংস্কৃতির অনন্য উৎসব ঈদ। এটি চিরাচরিত কোনো পর্ব নয়। দুনিয়ার অন্যান্য জাতির পর্ব বা উৎসব থেকে তা সম্পূর্ণ আলাদা। এই উৎসব না কোনো গোষ্ঠীগত স্বাতন্ত্র্য প্রকাশ করার জন্য পালন করা হয়, না কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে পালন করা হয়। বরং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত হিসাবে পালিত হয় এই উৎসব।পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ও সৌদি আরব প্রবাসী ও সকল দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন,
শুভেচ্ছা triple m Constitution কর্মচারী সাংবাদিক লুৎফুর রহমান রাকিব ফোরম্যান, সিনিয়র মো মহিন উদদীন রাব্বি. মো সালাউদ্দিন মো বেলাল হোসেন জুনিয়র মো হাছান মো আবুল রহিম মো সিয়াম বেপারী মো কামাল হোসেন মো আলম মো শাহআলম মো সুমন মো মারুফ বলেন, ঈদ মানে আনন্দ, খুশি। তবে ঈদের সঠিক অর্থ বারবার আসা। ঈদ যেহেতু সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীতে বারবার আসে সেহেতু ঈদকে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। ঈদ পর্বটি নিয়ে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। সুনানে আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত হজরত আনাস (রাঃ) বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন মদিনায় হিজরত করেন তখন সেখানকার লোকেরা দু’টি দিনকে বিশেষ দিন বা পর্ব হিসেবে পালন করতো। ঐদিন তারা খেলাধুলা ও আমোদ-ফুর্তি করতো। মহানবী (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, এ দু’টি দিন কি? এমন কী কারণ আছে যে, তোমরা এদিন দু’টি পালন করছো? তখন লোকেরা বলল, এ দুটি দিন এমন দিন, যা আমরা জাহিলিয়াতের যুগে পালন করতাম। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদেরকে এগুলোর বদলে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো দু’টি মহান দিন দিয়েছেন। তোমরা এগুলো পালন করবে। অতএব, আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি বরকত ও মঙ্গলময় দিন হিসেবে ঈদ উৎসব মুসলমানদের প্রতি নির্দেশিত হয়েছে। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ ও মুক্তির দিন হিসাবে ঈদ পর্ব দু’টি আমাদের জীবনে এসেছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলিম জীবনে একটি অনন্য দিন। এক মাস রোজা পালনের পর আসে এই ঈদ। রোজা পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা নিজেদের পাপ ও পাশবিক প্রবৃত্তি দমন করে উৎসব হিসেবে পালন করে ঈদ। এ উৎসব পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা আখিরাতে নাজাত পাওয়ার প্রয়াস পায়। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তারা যে গুণাবলি ও প্রশিক্ষণ অর্জন করে ঈদ উৎসব পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা তাকে পরিপূর্ণ করে। এই উৎসব মানুষে মানুষে যে বিভেদের প্রাচীর তৈরি হয়, তাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ, রাজা-প্রজা, মালিক-শ্রমিকের ভেদাভেদ ভুলে মানুষ সেদিন একাকার হয়ে যায়। ঈদের দিনটি একজন মুমিনের জন্য বড় আনন্দের দিন। পরম প্রাপ্তির দিন। হজরত সাদ বিন আওস আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ঈদুল ফিতরের দিন ফেরেশতারা রাস্তার প্রতিটি গেটে দাঁড়িয়ে যায় এবং মুসলমানদেরকে ডেকে বলে, ‘হে মুসলমানগণ! তোমরা তোমাদের সেই পরম দাতা প্রভুর দিকে চল যিনি নিজ কৃপায় তোমাদেরকে শান্তি ও মঙ্গলের শিক্ষা দেন, তার ওপর আমল করার শক্তি দেন, অতঃপর এর ওপরই তোমাদেরকে পুরস্কৃত করেন। তোমাদেরকে তিনি রাতে নামাজে দাঁড়ানোর হুকুম করেছেন তোমরা তা পালন করেছো। তিনি তোমাদেরকে দিনের বেলায় রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তোমরা তাও পালন করেছো। তিনি তোমাদেরকে আরো যে সব হুকুম করেছিলেন তোমরা তা পালন করেছো। অতএব, এখন তোমরা সেই মহান দাতা আল্লাহ তা’য়ালার সাথে সাক্ষাৎ করে ঐসব ইনাম ও পুরস্কারাদি নিয়ে এসো যা তিনি তোমাদের ঐ সমস্ত পুণ্য কর্মের ওপর নির্ধারণ করে রেখেছেন।

অতঃপর যখন মুসলমানরা তাদের নামাজ শেষ করে। তোমরা ভালো ভাবে জেনে রাখ, নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রভু তোমাদেরকে যথাযথভাবে পুরস্কৃৃত করেছেন, অতএব এখন তোমরা শান্তি ও মঙ্গলে ধন্য হয়ে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যাও। অতএব, ঈদের দিন প্রতিদান ও পুরস্কার লাভের দিন। এ কারণে আসমানেও এ দিনের নাম ‘ইয়ামুল জায়িযাহ’ বা ইনাম প্রাপ্তির দিন। (তারবানি)।
ঈদ উৎসব শুধু ধনীর জন্য নয়। মুসলিম সমাজের প্রতিটি মানুষ গরিব দুঃখী অসহায় সবাই সমানভাবে এতে অংশ নিতে পারে। সুতরাং ঈদের এই উৎসব শুধু আনন্দ উৎসব নয়, বরং এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ উৎসব যা ইবাদতের শামিল।
ঈদুল ফিতরে করণীয়
ঈদুল ফিতরের দিন নিচের কাজগুলো পরিপালন করা ইসলামী শরিয়াহর নির্দেশিত হয়েছে। ঈদ উৎসব শুরু হয় মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার মধ্য দিয়ে। আর তা সালাতুল ঈদ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ঘোষিত হতে থাকে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈদের চাঁদ দেখবে তার উচিত পরের দিন ইমাম ঈদগাহে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত যেন তাকবির পড়ে।হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঈদগুলোকে তাকবির,
আল্লাহু আকবার ধ্বনি) দ্বারা সুসজ্জিত করো। তাকবির অর্থ হচ্ছে আল্লাহ’র শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করা। তাকবিরের ভাষা হচ্ছে, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ, এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা। এ উৎসবের অন্যতম পর্ব হচ্ছে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। এখানেও উচ্চারিত হয় আল্লাহতালার শ্রেষ্ঠত্ব ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে,triple m Constitution
পক্ষ থেকে জানাই শ্রমিক ভাইদের পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।