কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায় ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু
- আপডেট সময় : ০৬:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে

পরেশ দেবনাথ, বিশেষ প্রতিনিধি
কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায় ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু। রোববার (০৭ ডিসেম্বট-২৫) সকালে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবুর আপন ছোট ভাই অলিয়ার রহমান উজ্জ্বলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠানে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
এ সময় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি যশোর-০৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, কেশবপুর উপজেলা জামায়াতের আমির ও দাঁড়িপাল্লার মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মুক্তার আলি, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কাউন্সিলর মশিয়ার রহমান, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দিন আলা, মরহুম উজ্জলের আপন বড় ভাই ও বিএনপি’র যুগ্ম আহবায় কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু ও জামায়াতের উপজেলা পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওজিউর রহমান প্রমূখ।
জানাজা শুরুর আগে মরহুমের আপন ভাই কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু বলেন, যৌথ অভিযানের নামে আমায় ভাইকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অদৃশ্য কারণে কারো নির্দেশে সেনাবাহিনী আমার ভাইকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ভাই হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল পরিকল্পনাকারিকে শনাক্ত করতে তিনি সকলের কাছে পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর-২৫) ভোর রাতে নিহত যুবদল নেতা উজ্জলের বাড়িতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক ও নির্মম নির্যাতন চালায়। সেনা ক্যাম্প ও থানা পুলিশ কোন রকম চিকিৎসা ছাড়াই ঐদিন দুপুরে থানা থেকে জেলখানায় নেওয়ার উদ্দেশ্যে মৃতপ্রায় উজ্জ্বলকে দুজন ব্যক্তি কোলে করে পুলিশ প্রিজনভ্যানে উঠানো হয়। ঐদিন রাতেই জেলখানায় তার অবস্থার অবনতি হলে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ৩ বছরের একটি শিশুর সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।


















