দুমকি উপজেলায়, এলজিইডির সড়কের বেহাল দশা,দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাকাকরণের দাবি

- আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও জলিশা তালুকদার ইসলামিয়া স্বতন্ত্র ইফতেদায়ি মাদ্রারাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার বেহাল দশা।
আংগারিয়া ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের ২০০৫ সালে জলিশা তালুকদার ইসলামিয়া স্বতন্ত্র ইফতেদায়ি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং দুমকি উপজেলায় একমাত্র বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ দুই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গুনগত মান ভালো হওয়ায় ওই দুই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৫ শতাধিক।এলজিইডি নির্মিত হেরিংবন্ড সড়ক বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থী, রোগী ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। জনদুর্ভোগ লাঘবে এখনই সংস্কার নয়, পাকা করণের দাবি স্থানীয়দের।সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, রাস্তার উপরে জঙ্গল হয়েছে । চলতি বর্ষায় হাঁটুসমান কাদা পানি জমে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে। স্থানীয়রা জানান, রিকশা-ভ্যান বা অ্যাম্বুলেন্স এই সড়কে সহজে চলতে না পারায় অসুস্থ রোগী বহনে মারাত্মক ভোগান্তি হয়।বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য দুমকি উপজেলার রাস্তার আইডি নং – ৫৭৮৯৬৪১১৪ জলিশা (শহিদ মেম্বার বাড়ি) থেকে (আলম মাস্টার বাড়ি)পর্যন্ত প্রায় ৮৫০ মিটার রাস্তা হেরিং বোন দ্বারা পাকা করা হয়।কিন্তু রাস্তাটি বিভিন্ন যায়গায় ইট না থাকায় এতে করে রাস্তাটি দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
একই অবস্থা দাঁড়িয়েছে দুমকি উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র হেরিং বোন রাস্তাটির।
এলজিইডি জলিশা (শহিদ মেম্বার বাড়ি) থেকে (আলম মাস্টার বাড়ি) পর্যন্ত প্রায় ৮৫০ মিটার রাস্তাটির হেরিংবোনের ইট উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাচলে দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান সৈয়দ আতিকুল ইসলাম জানান, খারাপ সড়কের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় বৃষ্টির মধ্যে পড়ে গিয়ে আঘাতও পায় তারা।জলিশা তালুকদার ইসলামিয়া স্বতন্ত্র ইফতেদায়ি মাদ্রারাসার প্রধান শিক্ষক আবু মুছা জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
রিক্সা চালক মোঃ মনির হোসেন বলেন, অনেক কষ্ট করে গাড়ি নিয়ে যেতে হয় আমি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ আমিনুল ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, “উপজেলার সকল বেহাল রাস্তাগুলো উপজেলা এলজিআরডি দফতর তালিকাভুক্ত করেছে। কোন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি রাস্তার তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।।