ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৬০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই নারী মাদক কারবারি আটক রাজাপুরের চাড়াখালী স্কুলে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস দুমকি উপজেলায়, বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা ভূরুঙ্গামারীতে ডিভোর্সি যুবকের কাছে মুক্তিপণ দাবিতে কথিত এক সাংবাদিক ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ গ্রেফতার চার দুমকি উপজেলায়, এলজিইডির সড়কের বেহাল দশা,দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাকাকরণের দাবি কেশবপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‍্যালি  ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত দিনাজপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক।। আসুন আমরা নীতি-নৈতিকতা দিয়ে এই সমাজ-দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলি টেকনাফে হ্নীলা নিখোঁজ শিশু কন্যার মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার, আটক- ৬ বেতাগীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে স্বাস্থ্যসহকারীরা এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কোন শব্দ নেই,আমরা সবাই বাঙালী— নূরুল ইসলাম মনি

টেকনাফে হ্নীলা নিখোঁজ শিশু কন্যার মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার, আটক- ৬

জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজারের টেকনাফে নিখোঁজ হওয়া ইন্জিনিয়ার মামুনুর রশীদ বাঁধননের সাড়ে চার বছরের শিশু কন্যা নুসরাত আফ্সি মনি ২৪ ঘন্টা পর লাশ হয়ে ফিরলো মা-বাবার বুকে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) পাশ্ববর্তী পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাহাকে উদ্ধার করে। গতকাল রবিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলার সময় নিখোঁজ হয় আফ্সি মনি। সে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা হোয়াকিয়া গ্রামের ইন্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ বাঁধনের কন্যা।

এঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে পূর্ব পানখালীর নিজ বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। একপর্যায়ে শিশু আফসি মনিকে দেখতে না পায়ে আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ নিতে থাকে। কোথাও না পেয়ে পাশ্ববর্তী দিলদার আহমদ মেম্বারের একটি পুকুর ছিল। ওই পুকুরেও ১০-১২ টি জাল দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোন হদিস মেলেনি। অবশেষে ২৪ ঘন্টার পর ওই পুকুরে সোমবার দুপুরে শিশু আফসি মনি’র মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। উদ্ধার সময়ে শিশুর মৃতদেহটি নরম ছিল। কানের দুল দুটি নেই, মুখে কস্টেপের (প্লাস্টার) দাগ রয়েছে।

এথেকে স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এ শিশুটিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথবা কানের দুল ছিনিয়ে নিতে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। সম্ভবত দুল ছিনিয়ে নেওয়াদের চিনতে পারায় তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

এমন নিষ্পাপ শিশু কন্যাকে হত্যা করায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের সুরতহাল তৈরি করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরন করেছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয় জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এসময় এলাকাবাসীর রোষানল থেকে আটককৃতদের বাঁচাতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও নিয়োজিত ছিল।

তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। পুলিশ তদন্ত করছে।

শিগগিরই প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান স্থানীয়রা এবং সচেতন মহল।

এব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি যায়েদ নুর জানান,

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টেকনাফে হ্নীলা নিখোঁজ শিশু কন্যার মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার, আটক- ৬

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফে নিখোঁজ হওয়া ইন্জিনিয়ার মামুনুর রশীদ বাঁধননের সাড়ে চার বছরের শিশু কন্যা নুসরাত আফ্সি মনি ২৪ ঘন্টা পর লাশ হয়ে ফিরলো মা-বাবার বুকে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) পাশ্ববর্তী পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাহাকে উদ্ধার করে। গতকাল রবিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলার সময় নিখোঁজ হয় আফ্সি মনি। সে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা হোয়াকিয়া গ্রামের ইন্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ বাঁধনের কন্যা।

এঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে পূর্ব পানখালীর নিজ বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। একপর্যায়ে শিশু আফসি মনিকে দেখতে না পায়ে আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ নিতে থাকে। কোথাও না পেয়ে পাশ্ববর্তী দিলদার আহমদ মেম্বারের একটি পুকুর ছিল। ওই পুকুরেও ১০-১২ টি জাল দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোন হদিস মেলেনি। অবশেষে ২৪ ঘন্টার পর ওই পুকুরে সোমবার দুপুরে শিশু আফসি মনি’র মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। উদ্ধার সময়ে শিশুর মৃতদেহটি নরম ছিল। কানের দুল দুটি নেই, মুখে কস্টেপের (প্লাস্টার) দাগ রয়েছে।

এথেকে স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এ শিশুটিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথবা কানের দুল ছিনিয়ে নিতে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। সম্ভবত দুল ছিনিয়ে নেওয়াদের চিনতে পারায় তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

এমন নিষ্পাপ শিশু কন্যাকে হত্যা করায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের সুরতহাল তৈরি করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরন করেছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয় জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এসময় এলাকাবাসীর রোষানল থেকে আটককৃতদের বাঁচাতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও নিয়োজিত ছিল।

তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। পুলিশ তদন্ত করছে।

শিগগিরই প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান স্থানীয়রা এবং সচেতন মহল।

এব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি যায়েদ নুর জানান,