টেকনাফে হ্নীলা নিখোঁজ শিশু কন্যার মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার, আটক- ৬

- আপডেট সময় : ০৪:৪৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের টেকনাফে নিখোঁজ হওয়া ইন্জিনিয়ার মামুনুর রশীদ বাঁধননের সাড়ে চার বছরের শিশু কন্যা নুসরাত আফ্সি মনি ২৪ ঘন্টা পর লাশ হয়ে ফিরলো মা-বাবার বুকে।
সোমবার (৫ অক্টোবর) পাশ্ববর্তী পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাহাকে উদ্ধার করে। গতকাল রবিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলার সময় নিখোঁজ হয় আফ্সি মনি। সে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা হোয়াকিয়া গ্রামের ইন্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ বাঁধনের কন্যা।
এঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে পূর্ব পানখালীর নিজ বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। একপর্যায়ে শিশু আফসি মনিকে দেখতে না পায়ে আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ নিতে থাকে। কোথাও না পেয়ে পাশ্ববর্তী দিলদার আহমদ মেম্বারের একটি পুকুর ছিল। ওই পুকুরেও ১০-১২ টি জাল দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোন হদিস মেলেনি। অবশেষে ২৪ ঘন্টার পর ওই পুকুরে সোমবার দুপুরে শিশু আফসি মনি’র মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। উদ্ধার সময়ে শিশুর মৃতদেহটি নরম ছিল। কানের দুল দুটি নেই, মুখে কস্টেপের (প্লাস্টার) দাগ রয়েছে।
এথেকে স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এ শিশুটিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথবা কানের দুল ছিনিয়ে নিতে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। সম্ভবত দুল ছিনিয়ে নেওয়াদের চিনতে পারায় তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এমন নিষ্পাপ শিশু কন্যাকে হত্যা করায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের সুরতহাল তৈরি করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরন করেছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয় জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এসময় এলাকাবাসীর রোষানল থেকে আটককৃতদের বাঁচাতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও নিয়োজিত ছিল।
তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। পুলিশ তদন্ত করছে।
শিগগিরই প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান স্থানীয়রা এবং সচেতন মহল।
এব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি যায়েদ নুর জানান,