ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

দেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ৯০ হাজার, বছরে ভাতা-সম্মানী নিচ্ছেন ২৪০০ কোটি টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫ ১০১ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় হাজার হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা যুক্ত হয়েছে। এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ঠিক কত এবং কে প্রকৃত আর কে ভূয়া সেটি নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সুবিধা, মাসিক ভাতাসহ এলাকায় প্রভাব খাটাতেই বিভিন্ন পন্থায় বাগিয়ে নেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সনদ। এসব ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ও উৎসব ভাতায় সরকারের খরচ হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা.

১৯৯৪ সালে সরকার প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, সেসময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮৬ হাজার। ৩০ বছর পর এসে ২০২৪ সালে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমার কথা ছিল। কারণ, এই সময়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু বরণ করেছেন। তবে হয়েছে উল্টো।

২০২৪ সালে এসে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জনে। গত ৩০ বছরে প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার নতুন মুক্তিযোদ্ধা যুক্ত হয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ হাজারকে ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর এসব ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধার পেছনে সরকারের বাৎসরিক খরচ ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

জামুকার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সরকারি ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৩৫ জন।

এই সংখ্যার মধ্যে ২৭১৯ জনের বয়সসীমা, গেজেট জালিয়াতি, সনদে অসঙ্গতি নিয়ে মামলা চলমান। এদিকে তালিকা থেকে ২ হাজার ১১১ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়েছে। তাদের বয়স মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্ধারিত বয়সসীমা (১২ বছর ৬ মাস) পূরণ হয়নি।

গত ১৫ বছরে মোট ৩ হাজার ৯২৬ জনের গেজেট বাতিল করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

বর্তমানে একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পান। এ ছাড়া ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ১০ হাজার করে, স্বাধীনতা দিবসে ৫ হাজার এবং বাংলা নববর্ষে ২ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়। অর্থাৎ, একজন মুক্তিযোদ্ধা বছরে কমপক্ষে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্তরা আরও বেশি পরিমাণে ভাতা পান।

 

বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা ভাতার হিসাব

 

প্রতিমাসে ভাতা: ২০,০০০ টাকা

দুই ঈদে: ১০,০০০ টাকা করে

২৬ মার্চ: ৫,০০০ টাকা

বাংলা নববর্ষে: ২,০০০ টাকা

**সর্বনিম্ন বার্ষিক ভাতা: ২,৬৭,০০০ টাকা

এ ভাতার ভিত্তিতে, ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বছরে গড়ে নিচ্ছেন প্রায় ২,৪০০ কোটি টাকা। যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা পান আরও বেশি। এতে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার পেছনে সরকারের একটা বড় পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ৯০ হাজার, বছরে ভাতা-সম্মানী নিচ্ছেন ২৪০০ কোটি টাকা!

আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় হাজার হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা যুক্ত হয়েছে। এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ঠিক কত এবং কে প্রকৃত আর কে ভূয়া সেটি নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সুবিধা, মাসিক ভাতাসহ এলাকায় প্রভাব খাটাতেই বিভিন্ন পন্থায় বাগিয়ে নেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সনদ। এসব ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ও উৎসব ভাতায় সরকারের খরচ হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা.

১৯৯৪ সালে সরকার প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, সেসময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮৬ হাজার। ৩০ বছর পর এসে ২০২৪ সালে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমার কথা ছিল। কারণ, এই সময়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু বরণ করেছেন। তবে হয়েছে উল্টো।

২০২৪ সালে এসে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জনে। গত ৩০ বছরে প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার নতুন মুক্তিযোদ্ধা যুক্ত হয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ হাজারকে ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর এসব ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধার পেছনে সরকারের বাৎসরিক খরচ ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

জামুকার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সরকারি ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৩৫ জন।

এই সংখ্যার মধ্যে ২৭১৯ জনের বয়সসীমা, গেজেট জালিয়াতি, সনদে অসঙ্গতি নিয়ে মামলা চলমান। এদিকে তালিকা থেকে ২ হাজার ১১১ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়েছে। তাদের বয়স মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্ধারিত বয়সসীমা (১২ বছর ৬ মাস) পূরণ হয়নি।

গত ১৫ বছরে মোট ৩ হাজার ৯২৬ জনের গেজেট বাতিল করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

বর্তমানে একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পান। এ ছাড়া ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ১০ হাজার করে, স্বাধীনতা দিবসে ৫ হাজার এবং বাংলা নববর্ষে ২ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়। অর্থাৎ, একজন মুক্তিযোদ্ধা বছরে কমপক্ষে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্তরা আরও বেশি পরিমাণে ভাতা পান।

 

বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা ভাতার হিসাব

 

প্রতিমাসে ভাতা: ২০,০০০ টাকা

দুই ঈদে: ১০,০০০ টাকা করে

২৬ মার্চ: ৫,০০০ টাকা

বাংলা নববর্ষে: ২,০০০ টাকা

**সর্বনিম্ন বার্ষিক ভাতা: ২,৬৭,০০০ টাকা

এ ভাতার ভিত্তিতে, ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বছরে গড়ে নিচ্ছেন প্রায় ২,৪০০ কোটি টাকা। যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা পান আরও বেশি। এতে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার পেছনে সরকারের একটা বড় পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে।