ঢাকা ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

খুলনায় পৃথক ঘটনায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত ২

শামীম রেজা, খুলনা জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুলনায় পৃথক দুটি ঘটনায় এক রাতে দুজনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (২৫ মে) দিবাগত মধ্যরাতে রূপসা উপজেলা ও সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনই পুরোনো অপরাধ ও শত্রুতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

রূপসা উপজেলার মোছাব্বরপুর গ্রামে মো. রনি ওরফে কালো রনি (৩৬) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মো. আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে এবং স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে একটি কল পাওয়ার পর রনি বাড়ি থেকে বের হন। কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দ শোনা গেলে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে মাঠের ভেতর তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নিহতের মাথায় একটি গুলি করা হয়, যা মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি খুলনার ‘বি’ কোম্পানির গ্রেনেড বাবুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।’

ওসি আরও জানান, ২০১৭ সালে একইভাবে দুর্বৃত্তরা রনির ছোটভাইকেও কুপিয়ে হত্যা করেছিল।

অপরদিকে, নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ২২ তলা ভবনের পাশের গলিতে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন গোলাম (২৫) নামের এক যুবক। তিনি হরিণটানা থানার ময়ুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. আলী হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গোলামের ওপর হামলা চালায়। পেটের মাঝখানে ছুরিকাঘাত করলে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কতব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, নিহত গোলাম পুলিশের ‘সোর্স’ হিসেবে কাজ করতেন।

সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জানান, ৩–৪ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গোলামের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

খুলনায় পৃথক ঘটনায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত ২

আপডেট সময় : ০৯:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

খুলনায় পৃথক দুটি ঘটনায় এক রাতে দুজনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (২৫ মে) দিবাগত মধ্যরাতে রূপসা উপজেলা ও সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনই পুরোনো অপরাধ ও শত্রুতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

রূপসা উপজেলার মোছাব্বরপুর গ্রামে মো. রনি ওরফে কালো রনি (৩৬) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মো. আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে এবং স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে একটি কল পাওয়ার পর রনি বাড়ি থেকে বের হন। কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দ শোনা গেলে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে মাঠের ভেতর তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নিহতের মাথায় একটি গুলি করা হয়, যা মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি খুলনার ‘বি’ কোম্পানির গ্রেনেড বাবুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।’

ওসি আরও জানান, ২০১৭ সালে একইভাবে দুর্বৃত্তরা রনির ছোটভাইকেও কুপিয়ে হত্যা করেছিল।

অপরদিকে, নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ২২ তলা ভবনের পাশের গলিতে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন গোলাম (২৫) নামের এক যুবক। তিনি হরিণটানা থানার ময়ুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. আলী হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গোলামের ওপর হামলা চালায়। পেটের মাঝখানে ছুরিকাঘাত করলে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কতব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, নিহত গোলাম পুলিশের ‘সোর্স’ হিসেবে কাজ করতেন।

সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জানান, ৩–৪ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গোলামের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।