ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

মাইক্রোক্রেডিট নামে আলাদা ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ ১০২ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্ষুদ্রঋণ খাতের বিস্তৃতি ও প্রভাবকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘মাইক্রোক্রেডিট’ নামে আলাদা একটি ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৭ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন,“মাইক্রোক্রেডিট এখন একটি বিশাল অর্থনৈতিক খাত। এটি আর শুধু এনজিও দ্বারা পরিচালিত হওয়ার উপযোগী নয়। এজন্য আলাদা ব্যাংক গঠন করতে হবে, এবং সেটির জন্য নতুন আইন দরকার।”

ড. ইউনূস তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে দেন যে, এই প্রস্তাবিত ব্যাংকটি হবে সামাজিক ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য থাকবে উদ্যোক্তা তৈরি ও দারিদ্র্য হ্রাস।“এই ব্যাংক থেকে কেউ ব্যক্তিগত মুনাফা তুলতে পারবে না। এটি হবে সম্পূর্ণভাবে জনকল্যাণমুখী।”

তিনি বলেন,“মানুষমাত্রই উদ্যোক্তা। সবাইকে যদি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ দেওয়া যায়, তবে বেকারত্ব থাকবে না। কেউ চাকরির পেছনে ছুটবে না।”

প্রথম দিকে মাইক্রোক্রেডিট বা ক্ষুদ্রঋণ ধারণাটিকে সমালোচনার চোখে দেখা হলেও, সময়ের ব্যবধানে তা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম কার্যকর মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন,“যারা একসময় মাইক্রোক্রেডিটকে উপহাস করত, তারাই পরে দেখেছে—এই পদ্ধতিতে মানুষ সত্যিকারের উন্নয়ন করতে পারে।”

ড. ইউনূসের এই প্রস্তাব বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। যেখানে প্রচলিত ব্যাংকগুলো মূলত মুনাফা ও জামানতনির্ভর ঋণপদ্ধতির ওপর দাঁড়িয়ে, সেখানে ক্ষুদ্রঋণের সামাজিক ব্যাংক মডেল একটি বিকল্প আর্থিক কাঠামো হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

 

এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নতুন আইন, নীতিমালা এবং নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রয়োজন—যা সরকারের আর্থিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাইক্রোক্রেডিট নামে আলাদা ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

ক্ষুদ্রঋণ খাতের বিস্তৃতি ও প্রভাবকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘মাইক্রোক্রেডিট’ নামে আলাদা একটি ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৭ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন,“মাইক্রোক্রেডিট এখন একটি বিশাল অর্থনৈতিক খাত। এটি আর শুধু এনজিও দ্বারা পরিচালিত হওয়ার উপযোগী নয়। এজন্য আলাদা ব্যাংক গঠন করতে হবে, এবং সেটির জন্য নতুন আইন দরকার।”

ড. ইউনূস তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে দেন যে, এই প্রস্তাবিত ব্যাংকটি হবে সামাজিক ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য থাকবে উদ্যোক্তা তৈরি ও দারিদ্র্য হ্রাস।“এই ব্যাংক থেকে কেউ ব্যক্তিগত মুনাফা তুলতে পারবে না। এটি হবে সম্পূর্ণভাবে জনকল্যাণমুখী।”

তিনি বলেন,“মানুষমাত্রই উদ্যোক্তা। সবাইকে যদি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ দেওয়া যায়, তবে বেকারত্ব থাকবে না। কেউ চাকরির পেছনে ছুটবে না।”

প্রথম দিকে মাইক্রোক্রেডিট বা ক্ষুদ্রঋণ ধারণাটিকে সমালোচনার চোখে দেখা হলেও, সময়ের ব্যবধানে তা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম কার্যকর মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন,“যারা একসময় মাইক্রোক্রেডিটকে উপহাস করত, তারাই পরে দেখেছে—এই পদ্ধতিতে মানুষ সত্যিকারের উন্নয়ন করতে পারে।”

ড. ইউনূসের এই প্রস্তাব বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। যেখানে প্রচলিত ব্যাংকগুলো মূলত মুনাফা ও জামানতনির্ভর ঋণপদ্ধতির ওপর দাঁড়িয়ে, সেখানে ক্ষুদ্রঋণের সামাজিক ব্যাংক মডেল একটি বিকল্প আর্থিক কাঠামো হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

 

এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নতুন আইন, নীতিমালা এবং নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রয়োজন—যা সরকারের আর্থিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।