ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

জুলাই-আগস্টে ভয়াবহ সহিংসতায় ১৫০০ জনের প্রাণহানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫১:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতায় সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, গণহত্যায় সরাসরি নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনার একাধিক ফোনালাপের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত সংস্থার হাতে থাকা টেলিফোন কনভারসেশনগুলোতে দেখা গেছে, তিনি রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে এ ঘটনায় ‘মূল পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা ও সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল’ ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কনভারসেশনে সুস্পষ্টভাবে তদন্ত দল নিশ্চিত হয়েছে যে, তিনি রাষ্ট্রীয় সব বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও হেলিকপ্টার, মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নিশ্চিহ্ন করার নির্দেশসহ ৫টি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে প্রায় ১৫০০ মানুষকে হত্যা এবং ২৫০০০ মানুষকে আহত করা হয়েছে। টার্গেট করে শিশু হত্যা, নারীদের ওপর হামলা, আহতদের হাসপাতালে নিতে ও চিকিৎসা নিতে বাধা, নিজে গিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া যাতে না হয় সেই নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এমন সব তথ্য প্রমাণ মিলেছে।

 

তিনি আরও বলেন, হেলিকপ্টার, ড্রোন, এপিসিসহ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র, নিরীহ আন্দোলনকারী যে সিভিলিয়ান পপুলেশন, যারা বাংলাদেশে একটি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত ছিল, তাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন বা নির্মূল করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। চিকিৎসক, ভুক্তভোগী, শহীদ পরিবারের লোক, ভিডিও, অডিও, নিহত আহতদের শরীর থেকে পাওয়া গুলি, হেলিকপ্টারের ফ্লাইট শিডিউল, অনেক সাক্ষীদের জবানবন্দি, আসামিদের জবানবন্দি এই তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের উসকে দেন। এর জেরেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের ‘অক্সিলিয়ারি ফোর্স’ হিসেবে বর্ণনা করে বলা হয়েছে, তারা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে মিলে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জুলাই-আগস্টে ভয়াবহ সহিংসতায় ১৫০০ জনের প্রাণহানি

আপডেট সময় : ০৯:৫১:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতায় সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, গণহত্যায় সরাসরি নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনার একাধিক ফোনালাপের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত সংস্থার হাতে থাকা টেলিফোন কনভারসেশনগুলোতে দেখা গেছে, তিনি রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে এ ঘটনায় ‘মূল পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা ও সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল’ ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কনভারসেশনে সুস্পষ্টভাবে তদন্ত দল নিশ্চিত হয়েছে যে, তিনি রাষ্ট্রীয় সব বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও হেলিকপ্টার, মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নিশ্চিহ্ন করার নির্দেশসহ ৫টি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে প্রায় ১৫০০ মানুষকে হত্যা এবং ২৫০০০ মানুষকে আহত করা হয়েছে। টার্গেট করে শিশু হত্যা, নারীদের ওপর হামলা, আহতদের হাসপাতালে নিতে ও চিকিৎসা নিতে বাধা, নিজে গিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া যাতে না হয় সেই নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এমন সব তথ্য প্রমাণ মিলেছে।

 

তিনি আরও বলেন, হেলিকপ্টার, ড্রোন, এপিসিসহ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র, নিরীহ আন্দোলনকারী যে সিভিলিয়ান পপুলেশন, যারা বাংলাদেশে একটি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত ছিল, তাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন বা নির্মূল করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। চিকিৎসক, ভুক্তভোগী, শহীদ পরিবারের লোক, ভিডিও, অডিও, নিহত আহতদের শরীর থেকে পাওয়া গুলি, হেলিকপ্টারের ফ্লাইট শিডিউল, অনেক সাক্ষীদের জবানবন্দি, আসামিদের জবানবন্দি এই তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের উসকে দেন। এর জেরেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের ‘অক্সিলিয়ারি ফোর্স’ হিসেবে বর্ণনা করে বলা হয়েছে, তারা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে মিলে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।