নতুন সংবিধান প্রণয়নে অনেক সময় লেগে যাবে- আইন উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নতুন সংবিধান প্রণয়নে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, নতুন সংবিধান তৈরির মতো একটি জটিল প্রক্রিয়ায় কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। সেই সময় পর্যন্ত বর্তমান সংসদকেই প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আজ (১১ মে) রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভাটি আয়োজন করে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ, নাগরিক কোয়ালিশন এবং সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোট, যেখানে সংবিধান সংস্কার নিয়ে উত্থাপিত সাতটি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, জাতীয় সংসদই সংবিধান প্রণয়ন করে। আমাদের পার্শ্ববর্তী অনেক দেশে নতুন সংবিধান প্রণয়নে ৮-৯ বছর লেগেছে। আমাদের ক্ষেত্রেও দীর্ঘ সময় লাগবে বলেই মনে করি। তবে এই অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য কি আমরা ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুসরণ করব? সেটি ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, নতুন গণপরিষদ যখন গঠিত হবে, তারা সংবিধান প্রণয়নের কাজ করবে। এই প্রক্রিয়ায় ২-৩ বছরও লাগতে পারে। এ সময় পর্যন্ত জাতীয় সংসদ কিছু মৌলিক বিষয়ের—যেমন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, উচ্চ আদালতের বিকেন্দ্রীকরণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা—সংস্কারে ভূমিকা রাখতে পারে।
জুলাই সনদ সংবিধানে যুক্ত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই সনদের ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা ধরে নিচ্ছি, এতে অনেকেই একমত হবেন। এর কিছু মৌলিক বিষয় নতুন সংবিধানে যুক্ত করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রসঙ্গে ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদের বিষয়টি জনপ্রিয় দাবি। তবে শুধু বললেই হবে না, যুক্তিসঙ্গত ও তথ্যনির্ভর তর্ক উপস্থাপন করতে হবে। পৃথিবীর কোথাও প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধতা নেই—ভারত, যুক্তরাজ্য, কোথাও না। মূল কথা হলো, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে আনা।
প্রধান বিচারপতির ভূমিকা নিয়েও তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি যেন স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমাদের সংবিধানে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা অনেক, তিনি কার্যত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি।

























