ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকা সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- জামায়াত আমীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেওয়াকে ‘সুবিচারের প্রতিষ্ঠা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আজহারুল ইসলামের মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন অপেক্ষমাণ সুবিচার অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিগত সরকার জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ভুয়া সাক্ষীর মাধ্যমে বিচার চালিয়ে তাদেরকে ফাঁসির মাধ্যমে হত্যা করেছে। এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “জামায়াত নেতাদের মামলায় সীমাহীন জালিয়াতি ও অন্যায়ের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে পদদলিত করে জামায়াত নেতাদের প্রাণ নেওয়া হয়েছে। সেইসাথে, তাদের পরিবারকেও অবর্ণনীয় নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “সরকার মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ‘সেইফ হোমে’ জামায়াত নেতাদের মামলার সাক্ষীদের বন্দি করে রাখত। যাঁরা মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানাতেন, তাঁদের অপহরণ পর্যন্ত করা হতো। এর অন্যতম উদাহরণ হলেন সুরঞ্জিন বালি।

জামায়াত আমির ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’র কথা উল্লেখ করে বলেন, “জামায়াত নেতাদের মামলায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। স্কাইপ কেলেঙ্কারির বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়েছে।

এদিন সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে তাকে খালাস দেন।

এদিকে এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এর কৃতিত্ব জুলাই মাসের গণআন্দোলনের সাহসী নেতৃত্বের।”

তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে আজহারুল ইসলাম মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে তার রিভিউ মঞ্জুর করেছেন।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকা সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- জামায়াত আমীর

আপডেট সময় : ১০:০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেওয়াকে ‘সুবিচারের প্রতিষ্ঠা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আজহারুল ইসলামের মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন অপেক্ষমাণ সুবিচার অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিগত সরকার জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ভুয়া সাক্ষীর মাধ্যমে বিচার চালিয়ে তাদেরকে ফাঁসির মাধ্যমে হত্যা করেছে। এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “জামায়াত নেতাদের মামলায় সীমাহীন জালিয়াতি ও অন্যায়ের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে পদদলিত করে জামায়াত নেতাদের প্রাণ নেওয়া হয়েছে। সেইসাথে, তাদের পরিবারকেও অবর্ণনীয় নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “সরকার মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ‘সেইফ হোমে’ জামায়াত নেতাদের মামলার সাক্ষীদের বন্দি করে রাখত। যাঁরা মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানাতেন, তাঁদের অপহরণ পর্যন্ত করা হতো। এর অন্যতম উদাহরণ হলেন সুরঞ্জিন বালি।

জামায়াত আমির ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’র কথা উল্লেখ করে বলেন, “জামায়াত নেতাদের মামলায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। স্কাইপ কেলেঙ্কারির বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়েছে।

এদিন সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে তাকে খালাস দেন।

এদিকে এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এর কৃতিত্ব জুলাই মাসের গণআন্দোলনের সাহসী নেতৃত্বের।”

তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে আজহারুল ইসলাম মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে তার রিভিউ মঞ্জুর করেছেন।”