ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

শেখ হাসিনাকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‍জুলাই-আগস্টের অভিযোগযুক্ত  গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৬ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ জুন।

এদিন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন মামলার আরেক আসামি, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এর আগে, গত ১ জুন এই মামলার পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্ত তিনজন হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ।

এ সময় শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামসহ প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুল ইসলাম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করেন।

গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে শেখ হাসিনাকে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেয় যে, জুলাই-আগস্টের alleged গণহত্যার তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে হবে।

এছাড়া, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

তদন্ত প্রতিবেদন ও অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন সরকার সরাসরি গুলি ও সহিংসতার মাধ্যমে সাধারণ ছাত্র ও জনতার বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এতে প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন বলে দাবি করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তরা পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ছিলেন।

বর্তমানে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে, যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় বিচার কার্যক্রম চলছে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেখ হাসিনাকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৩:১৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

‍জুলাই-আগস্টের অভিযোগযুক্ত  গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৬ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ জুন।

এদিন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন মামলার আরেক আসামি, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এর আগে, গত ১ জুন এই মামলার পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্ত তিনজন হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ।

এ সময় শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামসহ প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুল ইসলাম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করেন।

গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে শেখ হাসিনাকে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেয় যে, জুলাই-আগস্টের alleged গণহত্যার তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে হবে।

এছাড়া, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

তদন্ত প্রতিবেদন ও অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন সরকার সরাসরি গুলি ও সহিংসতার মাধ্যমে সাধারণ ছাত্র ও জনতার বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এতে প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন বলে দাবি করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তরা পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ছিলেন।

বর্তমানে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে, যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় বিচার কার্যক্রম চলছে।