ঢাকা ১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিবগঞ্জে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত প্রার্থীর মতবিনিময় সভা মনুষ্যত্বের চর্চায় শিক্ষকতা, সত্যের সন্ধানে সাংবাদিকতা’এম নজরুল ইসলাম খান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জব্বারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন গজারিয়া সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন কেশবপুরে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা  প্রতিরোধ বিষয়ক এক দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মোরেলগঞ্জে কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফুলপুরে ছাগলে ধানক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাসলিমা গুরুতর আহত আটক মহিদুল রামপালে বাক প্রতিবন্ধী দিপালী শীল কে ঘর নির্মাণ করে দিলেন  লায়ন ড. ফরিদ পটুয়াখালী ভার্সিটির, এএনএসভিএম অনুষদে নষ্ট অধিকাংশ প্রজেক্টর, নেই সাউন্ড সিস্টেম: চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় নিহত আবুল কালাম আজাদের পরিবারকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার সহায়তা

শেখ হাসিনা ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি, ১৯ জুন চূড়ান্ত শুনানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার মামলায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও উপস্থিত হননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৩ জুন) মামলার শুনানি শেষে আগামী ১৯ জুন চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তলব করা হলেও শেখ হাসিনা আদালতে হাজির হননি কিংবা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যাও দেননি। এতে আইনের বিধান অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল এখন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে।

ট্রাইব্যুনাল আইনে স্পষ্ট বলা আছে, আদালত অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হলে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যেতে পারে।

মামলাটি গাইবান্ধার একজন আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার কথিত ফোনালাপ ঘিরে। সেখানে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২২৫ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’। এই বক্তব্য আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে এবং বিচারাধীন বিষয়কে প্রভাবিত করে—এই অভিযোগে প্রসিকিউশন আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে।

এই মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আরেক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্য—নাছিরুল ইসলাম, আরশাদ হোসেন, ইমাজ হোসেন ইমন এবং কনস্টেবল সুজন—কে মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এই মামলাটিও বিচারাধীন এবং জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে এই দুটি মামলার দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে। আদালত অবমাননার মামলায় উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হলে দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা বাড়বে বলে তারা মনে করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেখ হাসিনা ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি, ১৯ জুন চূড়ান্ত শুনানি

আপডেট সময় : ০৯:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার মামলায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও উপস্থিত হননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৩ জুন) মামলার শুনানি শেষে আগামী ১৯ জুন চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তলব করা হলেও শেখ হাসিনা আদালতে হাজির হননি কিংবা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যাও দেননি। এতে আইনের বিধান অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল এখন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে।

ট্রাইব্যুনাল আইনে স্পষ্ট বলা আছে, আদালত অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হলে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যেতে পারে।

মামলাটি গাইবান্ধার একজন আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার কথিত ফোনালাপ ঘিরে। সেখানে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২২৫ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’। এই বক্তব্য আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে এবং বিচারাধীন বিষয়কে প্রভাবিত করে—এই অভিযোগে প্রসিকিউশন আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে।

এই মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আরেক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্য—নাছিরুল ইসলাম, আরশাদ হোসেন, ইমাজ হোসেন ইমন এবং কনস্টেবল সুজন—কে মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এই মামলাটিও বিচারাধীন এবং জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে এই দুটি মামলার দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে। আদালত অবমাননার মামলায় উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হলে দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা বাড়বে বলে তারা মনে করছে।