ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

হাসিনা সরকারের নির্বাচন ছিল দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানো: বাঁধন

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিগত কয়েকদিন ধরেই ফেসবুকে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন হয়ে ওঠা এই অভিনেত্রী এবার কথা বলেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়েও।

নিজের ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে বাঁধন দাবি করেছেন, গত সরকারের আমলে দুর্নীতিগ্রস্ত নির্বাচনের সাক্ষী ছিলেন তিনি। ইংরেজি ভাষায় দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। স্ট্যাটাসে বাঁধন জানান, শেখ হাসিনার সরকারের নির্বাচন ছিল দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানো নির্বাচন।

তিনি বলেন, ‘আমি চাই না আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আবারও সেই একই রাজনৈতিক কৌশল দেখতে। আমি নিজে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানোর ঘটনাগুলোর সাক্ষী। সত্যি বলতে কিছুটা অংশগ্রহণকারীও ছিলাম। কারণ, আমি তখন প্রচারণায় যুক্ত ছিলাম এবং গত সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম। ফলে আমি নিজ চোখে দেখেছি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো এবং এই সিস্টেম কীভাবে আপস করত।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ক্ষমতাসীন দল প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে, যা ছিল অত্যন্ত অনৈতিক ও অন্যায্য। এটি জনগণের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে এবং আমাদের ভবিষ্যতের ওপর একটি স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি নিজের প্রত্যাশার কথাও একই পোস্টে লেখেন বাঁধন, এবার আমি আন্তরিকভাবে আশা করি নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং দায়িত্ববোধের ওপর ভিত্তি করে সরকার একটি ভিন্ন পথ বেছে নেবে। একটি সত্যিকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন শুধু জনগণের দাবি নয়, এটি একটি শক্তিশালী উপহার- যা বাংলাদেশের মানুষকে দিতে পারে এই সরকার।

সবশেষে বাঁধন বলেন, আমাদের স্বচ্ছতা প্রাপ্য। আমরা জবাবদিহি আশা করি। আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ চাই। যা সত্য দিয়ে গঠিত, ষড়যন্ত্র দিয়ে নয়

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনা সরকারের নির্বাচন ছিল দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানো: বাঁধন

আপডেট সময় : ০৬:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

বিগত কয়েকদিন ধরেই ফেসবুকে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন হয়ে ওঠা এই অভিনেত্রী এবার কথা বলেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়েও।

নিজের ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে বাঁধন দাবি করেছেন, গত সরকারের আমলে দুর্নীতিগ্রস্ত নির্বাচনের সাক্ষী ছিলেন তিনি। ইংরেজি ভাষায় দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। স্ট্যাটাসে বাঁধন জানান, শেখ হাসিনার সরকারের নির্বাচন ছিল দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানো নির্বাচন।

তিনি বলেন, ‘আমি চাই না আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আবারও সেই একই রাজনৈতিক কৌশল দেখতে। আমি নিজে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানোর ঘটনাগুলোর সাক্ষী। সত্যি বলতে কিছুটা অংশগ্রহণকারীও ছিলাম। কারণ, আমি তখন প্রচারণায় যুক্ত ছিলাম এবং গত সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম। ফলে আমি নিজ চোখে দেখেছি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো এবং এই সিস্টেম কীভাবে আপস করত।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ক্ষমতাসীন দল প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে, যা ছিল অত্যন্ত অনৈতিক ও অন্যায্য। এটি জনগণের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে এবং আমাদের ভবিষ্যতের ওপর একটি স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি নিজের প্রত্যাশার কথাও একই পোস্টে লেখেন বাঁধন, এবার আমি আন্তরিকভাবে আশা করি নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং দায়িত্ববোধের ওপর ভিত্তি করে সরকার একটি ভিন্ন পথ বেছে নেবে। একটি সত্যিকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন শুধু জনগণের দাবি নয়, এটি একটি শক্তিশালী উপহার- যা বাংলাদেশের মানুষকে দিতে পারে এই সরকার।

সবশেষে বাঁধন বলেন, আমাদের স্বচ্ছতা প্রাপ্য। আমরা জবাবদিহি আশা করি। আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ চাই। যা সত্য দিয়ে গঠিত, ষড়যন্ত্র দিয়ে নয়