ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মাথা গোজার ঠায় নেই, খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করে ভূরুঙ্গামারীর শহিদুলের পরিবার ভূরুঙ্গামারীতে বৃদ্ধ মা-বাবাকে মারধর ও বাবার তিনটি দাঁত ভাঙার ঘটনায় দুই ছেলে গ্রেফতার জয়পুরহাটে জাতীয় নাগরিক পার্টির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দিঘলিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার উদ্যোগে এককালীন, আজীবন ও সুধী সদস্য সম্মেলন-২৫ অনুষ্ঠিত হয় চৌদ্দগ্রামে ৮শত প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরন। খুলনায় সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা প্রেসক্লাব দিঘলিয়ার নেতৃবৃন্দ ফুলপুরে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা রকিবুল হাসান সোহেলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ভূরুঙ্গামারীতে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের নতুন কমিটি গঠন ফুলপুরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাবেক এমপি আবুল বাশার আকন্দ জামালপুরে জেলা যুবদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ

যুবলীগ নেতার হুমকিতে ঘরছাড়া জামায়াত নেতার পরিবার

উপজেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫ ৮০ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পেকুয়ায় পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও লুটপাটের মামলা করায় প্রতিনিয়ত হুমকি ও হামলার শিকার হয়ে ঘরছাড়া হয়েছে জামায়াত নেতা মিজানুর রহমানের পরিবার। নিজ জীবন, পরিবার, স্ত্রী ও সন্তানদের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন উজানটিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি মো: মিজানুর রহমান।

রবিবার (১ জুন) সকাল ১০ টার দিকে পেকুয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জামায়াত নেতা মিজানুর রহমান বলেন, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উজানটিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বাহিনী বিগত ২০০৯ সালের ফ্যাসিস্ট আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে এলাকাছাড়া করে। আমার একমাত্র আয়ের উৎস গোদার পাড় স্টেশনের দোকানটি লুটপাট করে বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি বিভিন্ন সময়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল।

জামায়াত নেতা মিজানের স্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে ঘরছাড়া করে। যুবলীগ নেতা শহিদ চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদদে তার ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা মৃত রোকন চৌধুরীর পুত্র সাইদুল ইসলাম কাফি, মোশারফের পুত্র আলমগীর স্বামীর অনুপস্থিতিতে রাতের অন্ধকারে আমার বসতঘরে প্রবেশ করে অবুঝ শিশু ও আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনাটি তারা ভিডিও ধারণ করে হুমকি প্রদান করে এ ঘটনা কাউকে প্রকাশ করলে আমাকে, আমার স্বামী সন্তানদের প্রাণে মেরে ফেলবে এবং উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে। তখন থেকে আমার স্ত্রী নিরব ভূমিকা পালন করে। এমনকি আমার স্ত্রীকে অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম কাফি, মো: আলমগীর দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ আমার স্ত্রীক ধর্ষণ করে।

৫ আগস্টের পর স্বৈরাচারের পতনের পর কিছুদিন আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় এলাকায় এসে নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। মিজানের স্ত্রী তৈয়বা জন্নাত বলেন, অভিযুক্তগণ পুনরায় হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। তখন আমি একান্ত বাধ্য হয়ে আমার স্বামীকে ঘটনাটি অবহিত করি। আমার স্বামী এঘটনা জানার সাথে সাথে স্ট্রোক করলে হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে বিবাদীগণ প্রকাশ্যে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমার স্বামীর দোকানে গিয়ে আবারো হামলা ও লুটপাট করে। এ সময় আমার স্বামীকে হামলা করে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় আমার স্বামী বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১।

এ ঘটনায় আমার স্বামী বাদী হয়ে মামলা রুজু করে। মামলায় সাবেক যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়। এরপরও বিবাদীগণ থেমে থাকেনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামীদের গ্রেফতার না করায় আসামীরা বেপরোয়া হয়ে নিত্যদিন লাঞ্চিত করে আসতেছে। সর্বশেষ গত শনিবার বিকেলে সাবেক যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে আমার বসতবাড়ি ঘেরাও করে। আমি তাৎক্ষণিক পেকুয়া থানা পুলিশকে খবর প্রদান করি।

পেকুয়া থানার এস,আই রুহুল আমিন পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ দিকে মামলার বাদী মিজান বলেন, ওই বিবাদীগনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকার পরও পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করেনি। পৃথক দুটি মামলা দায়ের ও আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকার পরও পুলিশ কোন আসামীর বাড়ীতে একবারের জন্যেও অভিযান চালায়নি।

মিজান বলেন, ফিল্মিস্টাইেেল তার স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলা পেকুয়া থানায় দায়ের করতে গেলে পেকুয়া থানার ওসি শহীদ চেয়ারম্যানকে আসামী করে মামলা দায়ের করা যাবেনা বলে পরিস্কার জানিয়ে দিলে আমি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হই। মামলা নং-১৪/২৫।

বর্তমানে বাদী মিজান প্রশাসনের নিকট তার স্ত্রী, সন্তানদের নিরাপত্তা দাবী করেন। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার এস,আই রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার চেষ্ঠা করেছি। ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেকুয়া থানার (ওসি তদন্ত) দূর্জয় বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদীর প্রদত্ত আলামত যাচাই বাচাই করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অনীহার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যুবলীগ নেতার হুমকিতে ঘরছাড়া জামায়াত নেতার পরিবার

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

পেকুয়ায় পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও লুটপাটের মামলা করায় প্রতিনিয়ত হুমকি ও হামলার শিকার হয়ে ঘরছাড়া হয়েছে জামায়াত নেতা মিজানুর রহমানের পরিবার। নিজ জীবন, পরিবার, স্ত্রী ও সন্তানদের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন উজানটিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি মো: মিজানুর রহমান।

রবিবার (১ জুন) সকাল ১০ টার দিকে পেকুয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জামায়াত নেতা মিজানুর রহমান বলেন, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উজানটিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বাহিনী বিগত ২০০৯ সালের ফ্যাসিস্ট আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে এলাকাছাড়া করে। আমার একমাত্র আয়ের উৎস গোদার পাড় স্টেশনের দোকানটি লুটপাট করে বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি বিভিন্ন সময়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল।

জামায়াত নেতা মিজানের স্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে ঘরছাড়া করে। যুবলীগ নেতা শহিদ চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদদে তার ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা মৃত রোকন চৌধুরীর পুত্র সাইদুল ইসলাম কাফি, মোশারফের পুত্র আলমগীর স্বামীর অনুপস্থিতিতে রাতের অন্ধকারে আমার বসতঘরে প্রবেশ করে অবুঝ শিশু ও আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনাটি তারা ভিডিও ধারণ করে হুমকি প্রদান করে এ ঘটনা কাউকে প্রকাশ করলে আমাকে, আমার স্বামী সন্তানদের প্রাণে মেরে ফেলবে এবং উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে। তখন থেকে আমার স্ত্রী নিরব ভূমিকা পালন করে। এমনকি আমার স্ত্রীকে অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম কাফি, মো: আলমগীর দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ আমার স্ত্রীক ধর্ষণ করে।

৫ আগস্টের পর স্বৈরাচারের পতনের পর কিছুদিন আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় এলাকায় এসে নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। মিজানের স্ত্রী তৈয়বা জন্নাত বলেন, অভিযুক্তগণ পুনরায় হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। তখন আমি একান্ত বাধ্য হয়ে আমার স্বামীকে ঘটনাটি অবহিত করি। আমার স্বামী এঘটনা জানার সাথে সাথে স্ট্রোক করলে হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে বিবাদীগণ প্রকাশ্যে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমার স্বামীর দোকানে গিয়ে আবারো হামলা ও লুটপাট করে। এ সময় আমার স্বামীকে হামলা করে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় আমার স্বামী বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১।

এ ঘটনায় আমার স্বামী বাদী হয়ে মামলা রুজু করে। মামলায় সাবেক যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়। এরপরও বিবাদীগণ থেমে থাকেনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামীদের গ্রেফতার না করায় আসামীরা বেপরোয়া হয়ে নিত্যদিন লাঞ্চিত করে আসতেছে। সর্বশেষ গত শনিবার বিকেলে সাবেক যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে আমার বসতবাড়ি ঘেরাও করে। আমি তাৎক্ষণিক পেকুয়া থানা পুলিশকে খবর প্রদান করি।

পেকুয়া থানার এস,আই রুহুল আমিন পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ দিকে মামলার বাদী মিজান বলেন, ওই বিবাদীগনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকার পরও পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করেনি। পৃথক দুটি মামলা দায়ের ও আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকার পরও পুলিশ কোন আসামীর বাড়ীতে একবারের জন্যেও অভিযান চালায়নি।

মিজান বলেন, ফিল্মিস্টাইেেল তার স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলা পেকুয়া থানায় দায়ের করতে গেলে পেকুয়া থানার ওসি শহীদ চেয়ারম্যানকে আসামী করে মামলা দায়ের করা যাবেনা বলে পরিস্কার জানিয়ে দিলে আমি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হই। মামলা নং-১৪/২৫।

বর্তমানে বাদী মিজান প্রশাসনের নিকট তার স্ত্রী, সন্তানদের নিরাপত্তা দাবী করেন। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার এস,আই রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার চেষ্ঠা করেছি। ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেকুয়া থানার (ওসি তদন্ত) দূর্জয় বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদীর প্রদত্ত আলামত যাচাই বাচাই করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অনীহার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।