ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

জুলাই-আগস্টে গণহত্যা

শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৪:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। রোববার (১ জুন) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখা এই অভিযোগপত্র জমা দেয়।

অভিযোগে শেখ হাসিনার পাশাপাশি আরও দুইজনের নাম রয়েছে—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

গতকাল ৩১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি দেখা যাবে। তিনি বলেন, “এই বিচার এমনভাবে হবে, যাতে এর নিরপেক্ষতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন না তোলে।”

তিনি আরও বলেন, ১০ থেকে ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ গুমের ঘটনার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং জুনের মধ্যেই প্রতিবেদন আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রসিকিউটর দাবি করেন, তদন্তে অপরাধের কাঠামো ও অভিযুক্তদের পরিচয় চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তবে গুমের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত সম্পন্ন হয়। তদন্ত শেষে জানানো হয়, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় ১ হাজার ৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হন, যার নির্দেশনা ও দায় শেখ হাসিনার ওপর বর্তায়। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যা, প্ররোচনা, উসকানি ও নির্দেশনার মোট পাঁচটি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

একই ধরনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধেও প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জুলাই-আগস্টে গণহত্যা

শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। রোববার (১ জুন) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখা এই অভিযোগপত্র জমা দেয়।

অভিযোগে শেখ হাসিনার পাশাপাশি আরও দুইজনের নাম রয়েছে—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

গতকাল ৩১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি দেখা যাবে। তিনি বলেন, “এই বিচার এমনভাবে হবে, যাতে এর নিরপেক্ষতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন না তোলে।”

তিনি আরও বলেন, ১০ থেকে ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ গুমের ঘটনার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং জুনের মধ্যেই প্রতিবেদন আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রসিকিউটর দাবি করেন, তদন্তে অপরাধের কাঠামো ও অভিযুক্তদের পরিচয় চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তবে গুমের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত সম্পন্ন হয়। তদন্ত শেষে জানানো হয়, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় ১ হাজার ৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হন, যার নির্দেশনা ও দায় শেখ হাসিনার ওপর বর্তায়। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যা, প্ররোচনা, উসকানি ও নির্দেশনার মোট পাঁচটি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

একই ধরনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধেও প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে।