গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনে কামার পল্লী তে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পের কারিগররা। কুরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা তত বাড়ছে। হাতুড়ি এবং লোহার টুংটাং শব্দে মুখর হয়ে উঠছে কামারপাড়া। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ব্যস্ততা।
সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কুরবানী উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা আরো বেড়েছে। পশু কোরবানির জন্য দা, ছুরি ও চাপাতি সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরি করছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ পুরনো সরঞ্জামে শান দিয়ে নিচ্ছেন।
প্রকার ভেদে পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, দা ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা,পশু জবাইয়ের ছুরি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
কামার পল্লীর কামার সত্য রঞ্জন দাশ জানান, এক সময় কামারদের কদর ছিল। বর্তমানে আধুনিক মেশিনের সাহায্যে যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে। এতে আমাদের কদর কমছে। সারা বছর কাজ না থাকলেও কুরবানী উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা একটু বাড়ছে। ফলে সারা বছরই আমাদের চলতে হয়। যে কারণে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। কোরবানির ঈদ আসলে বাড়তি আয়ের আশায় একটু আশাবাদী হই। এ সময় আমাদের আয় রোজগার ভালো হয়। তবে কয়লা ও লোহার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দা, বটির দাম একটু বেশি পড়ছে।
শহরের নবীনবাগের সোহেল মোল্লা জানান, আমি প্রতি বছরই কুরবানী দেই। এ বছরেও কুরবানী দিব। একটু আগেই চাপাতিতে শান দিতে এসেছি। কিন্তু আগের থেকে মজুরিটা একটু বেশি পড়ে গেলো।
কুরবানীর সরঞ্জাম কিনতে আসা শাহাবুদ্দিন সুজা, ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে কামাররা তাদের মজুরি, ছুরি, দা, চাপাতির দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।