ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার ত্রিশালে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিএনএফ শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত জামালপুর পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে র‍্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দিলেন দিনাজপুরে সকল অফিসার ইনচার্জদের বদলি উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত প্রার্থীর মতবিনিময় সভা মনুষ্যত্বের চর্চায় শিক্ষকতা, সত্যের সন্ধানে সাংবাদিকতা’এম নজরুল ইসলাম খান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জব্বারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন গজারিয়া সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন কেশবপুরে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা  প্রতিরোধ বিষয়ক এক দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মোরেলগঞ্জে কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ ছাড় দিতে রাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ ১৩০ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ ছাড় দিতে রাজি আছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী সংস্কারকে দলীয় নয়, দেশ ও জনগণের জন্য কাজ বলে মনে করছে। তাই জামায়াত সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিতে রাজি আছে।

শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নায়েবে আমির জানান, জামায়াতে ইসলামী সংস্কারের বিষয়ে দলীয় অবস্থান পুনর্বিবেচনা করেছে। যেসব বিষয়ে প্রথমে জামায়াত একমত ছিল না, পরে আলোচনার মাধ্যমে কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে।

মো. তাহের বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রসেস এবং ইস্যুতে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে নয়, দেশের স্বার্থে-জাতীয় স্বার্থে সবার কল্যাণে জামায়াতে ইসলামী বিবেচনা করছে। এ কারণেই আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে যেগুলো উত্তম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, সেখানে প্রয়োজনে আমরা আমাদের মতো পরিবর্তন করে ঐকমত্য পোষণ করেছি। আমরা যখনই বুঝতে পারছি, আমাদের যে সিদ্ধান্ত বা চিন্তা তার চেয়ে আরও ভালো হতে পারে দেশ ও জাতির জন্য, তখনই আমরা পরিবর্তন আনছি। কারণ একটাই, আমাদের লক্ষ্য, কিন্তু দলীয় নয়, জাতীয় অর্জন।

বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আর ২-১ দিনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের সংলাপ শেষ হবে। তারপর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ শুরু হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অনেক বিষয়ে একমত হয়েছে। কিছু জায়গায় দ্বিমত আছে। যেসব দ্বিমত আছে সেসব বিষয়ে আগের বৈঠকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলা হয়েছিল।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে দলটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ ছাড় দিতে রাজি

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ ছাড় দিতে রাজি আছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী সংস্কারকে দলীয় নয়, দেশ ও জনগণের জন্য কাজ বলে মনে করছে। তাই জামায়াত সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিতে রাজি আছে।

শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নায়েবে আমির জানান, জামায়াতে ইসলামী সংস্কারের বিষয়ে দলীয় অবস্থান পুনর্বিবেচনা করেছে। যেসব বিষয়ে প্রথমে জামায়াত একমত ছিল না, পরে আলোচনার মাধ্যমে কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে।

মো. তাহের বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রসেস এবং ইস্যুতে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে নয়, দেশের স্বার্থে-জাতীয় স্বার্থে সবার কল্যাণে জামায়াতে ইসলামী বিবেচনা করছে। এ কারণেই আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে যেগুলো উত্তম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, সেখানে প্রয়োজনে আমরা আমাদের মতো পরিবর্তন করে ঐকমত্য পোষণ করেছি। আমরা যখনই বুঝতে পারছি, আমাদের যে সিদ্ধান্ত বা চিন্তা তার চেয়ে আরও ভালো হতে পারে দেশ ও জাতির জন্য, তখনই আমরা পরিবর্তন আনছি। কারণ একটাই, আমাদের লক্ষ্য, কিন্তু দলীয় নয়, জাতীয় অর্জন।

বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আর ২-১ দিনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের সংলাপ শেষ হবে। তারপর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ শুরু হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অনেক বিষয়ে একমত হয়েছে। কিছু জায়গায় দ্বিমত আছে। যেসব দ্বিমত আছে সেসব বিষয়ে আগের বৈঠকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলা হয়েছিল।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে দলটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।