ফুলবাড়ীতে কবরস্থানের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত ১
- আপডেট সময় : ০৬:২৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কবরস্থানের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে বিবাদমান দুইপক্ষের সংঘর্ষে আনোয়ারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (১১ মে) দুপুরে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পূর্ব গৌরীপাড়া গ্রামের কবরস্থান কমিটির সদস্যরা কবরস্থানসহ কবরস্থান সংলগ্ন পুকুর পাড় ঘেরাবেড়া দেওয়া নিয়ে বিবাদমান উভয় পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।
আহত আনোয়ারুল ইসলামের দাবি, কবরস্থান কমিটি কবরস্থান ঘেরাবেড়া দেওয়ার কথা বলে কবরস্থানের সংগে থাকা তার নিজ নামীয় পুকুর ও পুকুর পাড়ে তার মৃত বড়ভাই কামরুজ্জামানের এতিম মেয়ের জায়গা ঘেরাবেড়া দেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে বাঁধা দিতে গেলে তার ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে তিনি আহত হয়েছেন। ওই জমি তার পিতা জমিদারের কাছ থেকে হুকুম দখরের মাধ্যমে খরিদ করে নিজ নামে খাজনা খারিজ ও রেকর্ড করেছেন। পুকুরের পূর্ব এবং দক্ষিণ পার্শ্বে তারা কবরস্থানের জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু কবরস্থান কমিটি পুকুরের চতুর্দিকে জবরদখলের চেষ্টা করছে। এনিয়েই বিরোধের সূত্রপাত ঘটেছে।
আনোয়ারুল ইসলামের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করে কবরস্থান কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম জুয়েল বলেন, কেউ তার ওপর হামলা করেনি, সে পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছে মাত্র।
স্থানীয়রা জানান, পৌরএলাকার পূর্ব গৌরীপাড়া গ্রামের বুড়া দীঘির কবরস্থানের জায়গার মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে কবরস্থান কমিটির বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার সময় করবস্থান কমিটির পক্ষ থেকে কবরস্থান সংলগ্ন পুকুর পাড় ঘেরাবেড়া দেওয়া নিয়ে উভয় পক্ষেরমধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
কবরস্থান কমিটির উপদেষ্টা আলতাফ হোসেন বলেন, কবরস্থানের জায়গাটি মুসলিম জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য তৎকালীন জমিদার দিয়ে গেছেন। কিন্তু মৃত আব্দুল জব্বার পরিবর্তীতে কাগজপত্র সৃষ্টির মাধ্যমে নিজের বলে দাবি করায় এই বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম খন্দকার মহিব্বুল বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং বিরোধপূর্ণ জায়গায় সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আগামীতে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।



















