ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার ত্রিশালে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিএনএফ শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত জামালপুর পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে র‍্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দিলেন দিনাজপুরে সকল অফিসার ইনচার্জদের বদলি উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত প্রার্থীর মতবিনিময় সভা মনুষ্যত্বের চর্চায় শিক্ষকতা, সত্যের সন্ধানে সাংবাদিকতা’এম নজরুল ইসলাম খান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জব্বারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন গজারিয়া সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন কেশবপুরে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা  প্রতিরোধ বিষয়ক এক দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মোরেলগঞ্জে কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত

পাকিস্তানের ৩ বিমানঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

জে বাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারত পাকিস্তানের নূর খান, মুরিদ ও শোরকোট বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে—এমন গুরুতর অভিযোগ করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারত এই হামলা চালায়।

এ বিষয়ে এখনো ভারতীয় সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে বলেন,“ভারত তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। কোনো বিমান বা বিমানঘাঁটির বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।”

তিনি আরও বলেন,“এখন কেবল আমাদের জবাবের জন্য অপেক্ষা করুন।”

তিনটি লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে অন্যতম হলো রাওয়ালপিন্ডির নূর খান ঘাঁটি, যা পাকিস্তানের সামরিক সদর দফতরের অদূরে, রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ভারতের হামলার কিছুক্ষণ পরই পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।

আল জাজিরা ও পাকিস্তানের আইএসপিআর জানায়, “ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান উধমপুর ও পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে ফতেহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।”

ফতেহ-১ হলো পাকিস্তানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা স্থলভিত্তিক কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহারের উপযোগী।

এই মুহূর্তে পাকিস্তান বিস্তারিত দাবি করলেও, ভারত সরকার কিংবা প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। একইভাবে, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষও হামলার প্রমাণস্বরূপ কোনো ফুটেজ বা ছবি প্রকাশ করেনি।

দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এই ঘন ঘন সামরিক পাল্টাপাল্টি হামলা ও আক্রমণের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে.

বিশ্লেষকরা বলছেন, “পরিস্থিতি যদি দ্রুত শান্ত না হয়, তাহলে এশিয়ার এই অঞ্চল বড় ধরনের সংঘাতের মুখে পড়তে পারে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তানের ৩ বিমানঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আপডেট সময় : ০৫:০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ভারত পাকিস্তানের নূর খান, মুরিদ ও শোরকোট বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে—এমন গুরুতর অভিযোগ করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারত এই হামলা চালায়।

এ বিষয়ে এখনো ভারতীয় সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে বলেন,“ভারত তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। কোনো বিমান বা বিমানঘাঁটির বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।”

তিনি আরও বলেন,“এখন কেবল আমাদের জবাবের জন্য অপেক্ষা করুন।”

তিনটি লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে অন্যতম হলো রাওয়ালপিন্ডির নূর খান ঘাঁটি, যা পাকিস্তানের সামরিক সদর দফতরের অদূরে, রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ভারতের হামলার কিছুক্ষণ পরই পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।

আল জাজিরা ও পাকিস্তানের আইএসপিআর জানায়, “ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান উধমপুর ও পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে ফতেহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।”

ফতেহ-১ হলো পাকিস্তানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা স্থলভিত্তিক কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহারের উপযোগী।

এই মুহূর্তে পাকিস্তান বিস্তারিত দাবি করলেও, ভারত সরকার কিংবা প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। একইভাবে, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষও হামলার প্রমাণস্বরূপ কোনো ফুটেজ বা ছবি প্রকাশ করেনি।

দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এই ঘন ঘন সামরিক পাল্টাপাল্টি হামলা ও আক্রমণের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে.

বিশ্লেষকরা বলছেন, “পরিস্থিতি যদি দ্রুত শান্ত না হয়, তাহলে এশিয়ার এই অঞ্চল বড় ধরনের সংঘাতের মুখে পড়তে পারে।”