পটুয়াখালীর দশমিনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটলেন স্ত্রী ফারজানা (২০)। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যার আগে উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আহত স্বামী কাওসার (২০) ওই গ্রামের কামাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকায় কাওসারের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম থেকে তাদের বিয়ে হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবার খেয়ে দুজন একসঙ্গে শুয়েছিলেন। সন্ধ্যার আগে ফারজানার পিতার বাড়ি রংপুরে যাওয়া নিয়ে কাওসারের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী ফারজানা ছুরি দিয়ে স্বামী কাওসারের পুরুষাঙ্গে কোপ দেন। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন কাওসার। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা কাওসারকে উদ্ধার করে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শওকত ওসমান তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফারজানা বলেন, পরিচয়ের পর থেকেই কাওসার নানান প্রলোভনে আমাকে আগের স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে। সেখানে আমার দুটি সন্তান রয়েছে। আমার বাসার দুই লাখ টাকার মালামাল বিক্রি করে তিন মাস আগে আমাকে বিয়ে করে ওদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে কাওসার। এরপর আমাকে ঘর থেকে বের হতে দেন না কাওসারের মা। আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। তাই আমি এ কাজ করেছি।
দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।