ঢাকা ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

ভারতের হামলায় পাকিস্তানে নিহত ২৬, মসজিদেই প্রাণ গেছে ১৪ জনের

জে বাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫ ৮২ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ভারতের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৪ জন একসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর এলাকার ‘সুবহান আল্লাহ’ নামের একটি মসজিদে। বুধবার (৭ মে) এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি, আর নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়শ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম)।

 

জেইএম এক বিবৃতিতে জানায়, মসজিদে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং তার ৪ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগী। নিহতদের মধ্যে মাসুদ আজহারের বড় বোন, তার স্বামী, ভাতিজা, ভাতিজার স্ত্রী, এক ভাতিজি ও পাঁচটি শিশু রয়েছে। এছাড়া তার তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মা-ও ওই হামলায় নিহত হয়েছেন।

ভারতের এই হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভারত বা পাকিস্তানের সরকারিভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

 

বিবিসির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। নয়টি ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি করেছে দিল্লি। তবে ইসলামাবাদের দাবি, হামলা চালানো হয়েছে ছয়টি স্থানে এবং এগুলোর কোনোটিই সন্ত্রাসী ঘাঁটি ছিল না।

উল্লেখ্য, ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) অভিযোগ তোলে যে, এই হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন জয়শ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার এবং তার ভাই আবদুর রউফ আসগর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের হামলায় পাকিস্তানে নিহত ২৬, মসজিদেই প্রাণ গেছে ১৪ জনের

আপডেট সময় : ০১:১৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

ভারতের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৪ জন একসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর এলাকার ‘সুবহান আল্লাহ’ নামের একটি মসজিদে। বুধবার (৭ মে) এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি, আর নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়শ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম)।

 

জেইএম এক বিবৃতিতে জানায়, মসজিদে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং তার ৪ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগী। নিহতদের মধ্যে মাসুদ আজহারের বড় বোন, তার স্বামী, ভাতিজা, ভাতিজার স্ত্রী, এক ভাতিজি ও পাঁচটি শিশু রয়েছে। এছাড়া তার তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মা-ও ওই হামলায় নিহত হয়েছেন।

ভারতের এই হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভারত বা পাকিস্তানের সরকারিভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

 

বিবিসির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। নয়টি ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি করেছে দিল্লি। তবে ইসলামাবাদের দাবি, হামলা চালানো হয়েছে ছয়টি স্থানে এবং এগুলোর কোনোটিই সন্ত্রাসী ঘাঁটি ছিল না।

উল্লেখ্য, ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) অভিযোগ তোলে যে, এই হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন জয়শ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার এবং তার ভাই আবদুর রউফ আসগর।