পাহাড়ে আদিবাসী নারীরা আর নিরাপদ নয়:মিছিলে বক্তারা
- আপডেট সময় : ০১:১৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ৭০ বার পড়া হয়েছে

শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামে নয় দূর্গম সীমান্তবর্তী বসবাসরত পাহাড়ে প্রতিটি আদিবাসী নারীরা এখন আর নিরাপদ নয়। যেখানে যুগের পর যুগ ধরে থানচিতে কোন ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেনি কিন্তু এখন সেসব প্রত্যান্ত এলাকাতে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনা ঘটছে। যেটি পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপর অশুভ দিন বয়ে আনছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সামনে খিয়াং নারীর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন আদিবাসী ছাত্র সমাজের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে নেতারা।
এর আগে থানচির দুর্গম এলাকায় চিংমা খিয়াং নামে এক আদিবাসী নারীর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রাজার মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় বিভিন্ন ফেষ্টুন ও ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন শতাধিক মানুষ।
সমাবেশে বক্তব্যে রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনে জেলা সভাপতি অংচমং মারমা, নারী মানবাধিকার কর্মী ডনাই প্রু নেলী, লেলুং খুমী, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক ফিলিপ খিয়াং, জন ত্রিপুরা, এইউ ডব্লিউ জেলা সভাপতি উলিসিং মারমাসহ আরো অনেকেই।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চটগ্রামে ধর্ষণের ঘটনা নতুন নয়। যতবার ধর্ষণ ঘটনা ঘটেছে ততবারই প্রেসক্লাব সামনে জড়ো হয়ে এসে বিচার চেয়েছি। কিন্তু বিচার দূরে কথা ধর্ষণকারীকে আইনে আওতায় আনতে ব্যর্থ প্রশাসন। শুধু বান্দরবানে নয় পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। যার কারণে ধর্ষককারীরা আরো সুযোগ পাচ্ছে।
সমাবেশে আরো বলেন, প্রত্যান্ত দূর্গম এলাকায় তিন সন্তান জননী চিংমা খিয়াং নিজ জুমে কাজ করার সময় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন সেটি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনে আওতায় এনে সঠিক বিচারের মুখোমুখি দাড় করাতে হবে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষণকারীকে আইনে আওতায় না আনলে কঠোর আন্দোলনে কর্মসূচি ডাক দেয়া হুশিয়ারি দেন আদিবাসী ছাত্র সমাজের সংগঠনের নেতারা।
উল্লেখ্য,থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় চিংমা খিয়াং (২৯) নামে এক আদিবাসী খিয়াং নারী গণধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।


















