ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী-২ আসনে বাউফল উপজেলায় ধানের শীষ বিজয়ের লক্ষ্যে গনসংযোগ ব্যাস্ত সময় পাড় করেছেন এ,কে লিটু পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হলো ইপিএল-২৬ এর অকশন দুমকিতে ফারিয়া নির্বাচনে সভাপতি সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল নির্বাচিত দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনী সেন্টার কমিটি গঠন। খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ভারতীয় অবৈধ মালামাল আটক জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দাবিতে খাগড়াছড়িতে জামায়াতের বিক্ষোভ বেতাগীতে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা, একাংশের বিক্ষোভ দুমকি উপজেলায়, প্রতিবন্ধী ভাতা ও টিউবওয়েল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমতলীতে গভীর রাতে বাসে আগুন, পুড়ে ছাই ভূরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ধানের শীষের নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ অক্সিজেন ব্যবহার, রোগীর জীবন নিয়ে শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:১০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার চিহ্ন দেখা গেছে। ‘লিন্ডে’ কোম্পানির একটি সিলিন্ডারে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে—ফিল ডেট: ১০.০১.২২ এবং এক্সপায়ারি ডেট: ০৯.০১.২৫। অর্থাৎ, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সিলিন্ডারটির নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে, তবুও তা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এই সিলিন্ডার রাখা আছে রুগীকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য। সিলিন্ডারের ছবি তুলতে গেলে একজন নার্স আরেকটা সিলিন্ডার এনে ওই সিলিন্ডারের পাশে রাখে।

একজন রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যেখানে মানুষের শ্বাসই নির্ভর করে এই সিলিন্ডারের ওপর, সেখানে মেয়াদ পার হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।”

এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা মাসুদ পারভেজ বলেন, ওই সিলিন্ডারটি লিণ্ডে কোম্পানির হলেও ২০১০ থেকে স্পেক্টা কোম্পানির সঙ্গে আমাদের অক্সিজেন সিলিন্ডারের চুক্তি হয়েছে, আমরা স্পেক্টা কোম্পানির কাছে থেকে সিলিন্ডার নেই তারাই এই বিষয়ে বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও ড: মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ঘটনা নিয়ে স্পেক্টা ইন্টারনেশনাল লি: এর রাজশাহী ডিপো ইনচার্জ মীর আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘এই সিলিন্ডার কোনোভাবেই স্পেক্টা কোম্পানির হতে পারে না ,কারণ আমরা একটা সিলিন্ডার রিফিউল করার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করি ও পরীক্ষা তাই আমাদের স্পেক্টা কোম্পানির সিলিন্ডারে লিণ্ডে কোম্পানির স্টিকার থাকবে না।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে নিয়মিতভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার পরীক্ষা এবং মেয়াদ যাচাই করার কার্যক্রম চালু না থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তারা অনতিবিলম্বে হাসপাতালের সব সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষার দাবি জানান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—স্বাস্থ্যসেবা খাতে শুধুমাত্র সরঞ্জাম থাকলেই হয় না, তার সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ অক্সিজেন ব্যবহার, রোগীর জীবন নিয়ে শঙ্কা

আপডেট সময় : ০১:১০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার চিহ্ন দেখা গেছে। ‘লিন্ডে’ কোম্পানির একটি সিলিন্ডারে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে—ফিল ডেট: ১০.০১.২২ এবং এক্সপায়ারি ডেট: ০৯.০১.২৫। অর্থাৎ, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সিলিন্ডারটির নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে, তবুও তা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এই সিলিন্ডার রাখা আছে রুগীকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য। সিলিন্ডারের ছবি তুলতে গেলে একজন নার্স আরেকটা সিলিন্ডার এনে ওই সিলিন্ডারের পাশে রাখে।

একজন রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যেখানে মানুষের শ্বাসই নির্ভর করে এই সিলিন্ডারের ওপর, সেখানে মেয়াদ পার হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।”

এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা মাসুদ পারভেজ বলেন, ওই সিলিন্ডারটি লিণ্ডে কোম্পানির হলেও ২০১০ থেকে স্পেক্টা কোম্পানির সঙ্গে আমাদের অক্সিজেন সিলিন্ডারের চুক্তি হয়েছে, আমরা স্পেক্টা কোম্পানির কাছে থেকে সিলিন্ডার নেই তারাই এই বিষয়ে বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও ড: মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ঘটনা নিয়ে স্পেক্টা ইন্টারনেশনাল লি: এর রাজশাহী ডিপো ইনচার্জ মীর আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘এই সিলিন্ডার কোনোভাবেই স্পেক্টা কোম্পানির হতে পারে না ,কারণ আমরা একটা সিলিন্ডার রিফিউল করার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করি ও পরীক্ষা তাই আমাদের স্পেক্টা কোম্পানির সিলিন্ডারে লিণ্ডে কোম্পানির স্টিকার থাকবে না।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে নিয়মিতভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার পরীক্ষা এবং মেয়াদ যাচাই করার কার্যক্রম চালু না থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তারা অনতিবিলম্বে হাসপাতালের সব সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষার দাবি জানান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—স্বাস্থ্যসেবা খাতে শুধুমাত্র সরঞ্জাম থাকলেই হয় না, তার সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণও সমান গুরুত্বপূর্ণ।