ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী-২ আসনে বাউফল উপজেলায় ধানের শীষ বিজয়ের লক্ষ্যে গনসংযোগ ব্যাস্ত সময় পাড় করেছেন এ,কে লিটু পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হলো ইপিএল-২৬ এর অকশন দুমকিতে ফারিয়া নির্বাচনে সভাপতি সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল নির্বাচিত দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনী সেন্টার কমিটি গঠন। খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ভারতীয় অবৈধ মালামাল আটক জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দাবিতে খাগড়াছড়িতে জামায়াতের বিক্ষোভ বেতাগীতে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা, একাংশের বিক্ষোভ দুমকি উপজেলায়, প্রতিবন্ধী ভাতা ও টিউবওয়েল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমতলীতে গভীর রাতে বাসে আগুন, পুড়ে ছাই ভূরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ধানের শীষের নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে রমরমা দেহ ব্যবসা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা!

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫ ৭০ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদ সানমার ওশান সিটির বিপরীতে ওমর গনি প্লাজার হোটেল প্যারাডাইস (নিউ) আবাসিকের চতুর্থ তলার ছাদে ‘ম্যাসাজ পার্লার’-এর নামে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা। এ অবৈধ ব্যবসার নেতৃত্বে রয়েছেন নাজমুল বিন হোসাইন রাসেল ও তার সহযোগী ইমরান নামের দুই চিহ্নিত ব্যক্তি।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, “বসুন্ধরা পার্লার” নামের এই কথিত মেসেজ পার্লারের দরজায় বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ভিতরে অবস্থান করছেন বেশ কয়েকজন নারী, অপেক্ষমাণ খদ্দেরদের জন্য। বাহ্যিকভাবে দেখে বোঝার উপায় নেই ভিতরে চলমান অনৈতিক কর্মকাণ্ডের।

সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে চম্পট দেয় রাসেল-ইমরান গং। তারা ছাদের অন্য পাশ দিয়ে পালিয়ে যায়, রেখে যায় ভিতরে আটকা পড়া ৭ থেকে ৮ জন নারীকে। ক্যামেরার লেন্স দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নারীরা। সাংবাদিকদের সামনে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে তারা জানান, রাসেল ও ইমরান তাদের আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করছে। তাদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন!

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পালাতে চাইলে রাসেল-ইমরান তাদের উপর চালায় অকথ্য নির্যাতন ও গালাগাল। কেউ বের হতে চাইলে শারীরিক নিপীড়নও চালানো হয়।

নারীরা আরও জানান, রাসেল স্থানীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত এবং তার ছত্রছায়ায় সন্ধ্যার পর অনেক প্রভাবশালী নেতা এখানে আনাগোনা করে। পুরো পার্লারটি রাসেলের ইশারায় পরিচালিত হয় এবং ইমরান মূলত খদ্দের সংগ্রহের কাজ করে থাকে।

ঘটনাস্থলে পরে রাসেলপন্থী রাশেদ দলবল নিয়ে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের হুমকি প্রদর্শন করে এবং বিভিন্ন সাংবাদিকের পরিচিত বলে দাবি করে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করে। রাসেল দাবি করে, তার নাকি অনেক গণমাধ্যম কর্মীর সাথে গভীর সখ্যতা রয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে—প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে এ ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ড দিনের পর দিন চলে? চট্টগ্রামে স্পা সেন্টার আর ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে ছড়িয়ে পড়েছে অশ্লীলতার বিষবৃক্ষ। তরুণ সমাজ নষ্ট হচ্ছে, সামাজিক অবক্ষয় চরমে পৌঁছাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান জানান, “আমি পুলিশ পাঠিয়েছি, বর্তমানে স্থানটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এর আগেও কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে।”

সচেতন মহলের দাবি, প্রশাসনিক শক্ত হাতে হস্তক্ষেপ ছাড়া এই নোংরামি বন্ধ করা সম্ভব নয়। এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নিলে তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে—এ আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে।

নিউজ হওয়ার পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান মুরাদ হোসেন বিপ্লবকে ফোন করে অসত্য ভাষায় গালাগালি করেন রাসেল নামের এই পতিতা ব্যবসায়ী এবং দিয়ে থাকেন নানা ধরনের থ্রেট।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চট্টগ্রামে ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে রমরমা দেহ ব্যবসা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা!

আপডেট সময় : ০৬:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদ সানমার ওশান সিটির বিপরীতে ওমর গনি প্লাজার হোটেল প্যারাডাইস (নিউ) আবাসিকের চতুর্থ তলার ছাদে ‘ম্যাসাজ পার্লার’-এর নামে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা। এ অবৈধ ব্যবসার নেতৃত্বে রয়েছেন নাজমুল বিন হোসাইন রাসেল ও তার সহযোগী ইমরান নামের দুই চিহ্নিত ব্যক্তি।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, “বসুন্ধরা পার্লার” নামের এই কথিত মেসেজ পার্লারের দরজায় বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ভিতরে অবস্থান করছেন বেশ কয়েকজন নারী, অপেক্ষমাণ খদ্দেরদের জন্য। বাহ্যিকভাবে দেখে বোঝার উপায় নেই ভিতরে চলমান অনৈতিক কর্মকাণ্ডের।

সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে চম্পট দেয় রাসেল-ইমরান গং। তারা ছাদের অন্য পাশ দিয়ে পালিয়ে যায়, রেখে যায় ভিতরে আটকা পড়া ৭ থেকে ৮ জন নারীকে। ক্যামেরার লেন্স দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নারীরা। সাংবাদিকদের সামনে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে তারা জানান, রাসেল ও ইমরান তাদের আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করছে। তাদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন!

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পালাতে চাইলে রাসেল-ইমরান তাদের উপর চালায় অকথ্য নির্যাতন ও গালাগাল। কেউ বের হতে চাইলে শারীরিক নিপীড়নও চালানো হয়।

নারীরা আরও জানান, রাসেল স্থানীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত এবং তার ছত্রছায়ায় সন্ধ্যার পর অনেক প্রভাবশালী নেতা এখানে আনাগোনা করে। পুরো পার্লারটি রাসেলের ইশারায় পরিচালিত হয় এবং ইমরান মূলত খদ্দের সংগ্রহের কাজ করে থাকে।

ঘটনাস্থলে পরে রাসেলপন্থী রাশেদ দলবল নিয়ে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের হুমকি প্রদর্শন করে এবং বিভিন্ন সাংবাদিকের পরিচিত বলে দাবি করে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করে। রাসেল দাবি করে, তার নাকি অনেক গণমাধ্যম কর্মীর সাথে গভীর সখ্যতা রয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে—প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে এ ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ড দিনের পর দিন চলে? চট্টগ্রামে স্পা সেন্টার আর ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে ছড়িয়ে পড়েছে অশ্লীলতার বিষবৃক্ষ। তরুণ সমাজ নষ্ট হচ্ছে, সামাজিক অবক্ষয় চরমে পৌঁছাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান জানান, “আমি পুলিশ পাঠিয়েছি, বর্তমানে স্থানটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এর আগেও কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে।”

সচেতন মহলের দাবি, প্রশাসনিক শক্ত হাতে হস্তক্ষেপ ছাড়া এই নোংরামি বন্ধ করা সম্ভব নয়। এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নিলে তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে—এ আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে।

নিউজ হওয়ার পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান মুরাদ হোসেন বিপ্লবকে ফোন করে অসত্য ভাষায় গালাগালি করেন রাসেল নামের এই পতিতা ব্যবসায়ী এবং দিয়ে থাকেন নানা ধরনের থ্রেট।