ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, বরগুনার বেতাগীতে যুবদল নেতার গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ৭১ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বিশেষ প্রতিনিধি:

 

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে এক তরুণের পরিবার থেকে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মো. মশিউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম।

 

গ্রেপ্তার হওয়া মশিউর রহমান বেতাগী উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ছিলেন এবং তিনি জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সৎ ভাই। হুমায়ুন কবীর আবার বরগুনার পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিলের বৈমাতো ভাই। এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কগুলো কাজে লাগিয়েই দীর্ঘদিন ধরে মশিউর বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

বেতাগী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মশিউরকে আদালতে তোলা হবে। মামলার বাদী লুৎফা বেগম, যিনি চাকরি প্রত্যাশী রনি মৃধার মা, তিনি জানান, ছেলের চাকরির আশ্বাস দিয়ে মশিউর তাদের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সময়মতো চাকরি না হওয়ায় এবং মশিউর যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

 

এ ব্যাপারে বরগুনা পুলিশ সুপারকে জানালে তার নির্দেশেই বেতাগী থানা পুলিশ মশিউরকে আটক করে। পরে রাত ৮টার দিকে লুৎফা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেন এবং সেই মামলাতেই মশিউরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

 

বেতাগী উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মশিউর তার ভাইয়ের প্রভাব ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ছিল তার অন্যতম কৌশল।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবদলের একজন স্থানীয় নেতা বলেন, “অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে। মশিউর তার ভাইয়ের ক্ষমতা ব্যবহার করে বহু মানুষকে ঠকিয়েছে। তার কারণেই আজ তাকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে।”

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল হালিম জানান, পুলিশের নিয়োগে কোনো আর্থিক লেনদেন হয় না। সাধারণ মানুষ যদি সচেতন থাকে, তাহলে এই ধরনের প্রতারকরা কোনোভাবেই সফল হতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলায় মশিউরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, বরগুনার বেতাগীতে যুবদল নেতার গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৩:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

 

বিশেষ প্রতিনিধি:

 

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে এক তরুণের পরিবার থেকে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মো. মশিউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম।

 

গ্রেপ্তার হওয়া মশিউর রহমান বেতাগী উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ছিলেন এবং তিনি জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সৎ ভাই। হুমায়ুন কবীর আবার বরগুনার পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিলের বৈমাতো ভাই। এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কগুলো কাজে লাগিয়েই দীর্ঘদিন ধরে মশিউর বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

বেতাগী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মশিউরকে আদালতে তোলা হবে। মামলার বাদী লুৎফা বেগম, যিনি চাকরি প্রত্যাশী রনি মৃধার মা, তিনি জানান, ছেলের চাকরির আশ্বাস দিয়ে মশিউর তাদের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সময়মতো চাকরি না হওয়ায় এবং মশিউর যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

 

এ ব্যাপারে বরগুনা পুলিশ সুপারকে জানালে তার নির্দেশেই বেতাগী থানা পুলিশ মশিউরকে আটক করে। পরে রাত ৮টার দিকে লুৎফা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেন এবং সেই মামলাতেই মশিউরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

 

বেতাগী উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মশিউর তার ভাইয়ের প্রভাব ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ছিল তার অন্যতম কৌশল।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবদলের একজন স্থানীয় নেতা বলেন, “অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে। মশিউর তার ভাইয়ের ক্ষমতা ব্যবহার করে বহু মানুষকে ঠকিয়েছে। তার কারণেই আজ তাকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে।”

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল হালিম জানান, পুলিশের নিয়োগে কোনো আর্থিক লেনদেন হয় না। সাধারণ মানুষ যদি সচেতন থাকে, তাহলে এই ধরনের প্রতারকরা কোনোভাবেই সফল হতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলায় মশিউরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।