পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, বরগুনার বেতাগীতে যুবদল নেতার গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় : ০৩:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ৭১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে এক তরুণের পরিবার থেকে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মো. মশিউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম।
গ্রেপ্তার হওয়া মশিউর রহমান বেতাগী উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ছিলেন এবং তিনি জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সৎ ভাই। হুমায়ুন কবীর আবার বরগুনার পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিলের বৈমাতো ভাই। এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কগুলো কাজে লাগিয়েই দীর্ঘদিন ধরে মশিউর বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বেতাগী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মশিউরকে আদালতে তোলা হবে। মামলার বাদী লুৎফা বেগম, যিনি চাকরি প্রত্যাশী রনি মৃধার মা, তিনি জানান, ছেলের চাকরির আশ্বাস দিয়ে মশিউর তাদের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সময়মতো চাকরি না হওয়ায় এবং মশিউর যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এ ব্যাপারে বরগুনা পুলিশ সুপারকে জানালে তার নির্দেশেই বেতাগী থানা পুলিশ মশিউরকে আটক করে। পরে রাত ৮টার দিকে লুৎফা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেন এবং সেই মামলাতেই মশিউরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বেতাগী উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মশিউর তার ভাইয়ের প্রভাব ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ছিল তার অন্যতম কৌশল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবদলের একজন স্থানীয় নেতা বলেন, “অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে। মশিউর তার ভাইয়ের ক্ষমতা ব্যবহার করে বহু মানুষকে ঠকিয়েছে। তার কারণেই আজ তাকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল হালিম জানান, পুলিশের নিয়োগে কোনো আর্থিক লেনদেন হয় না। সাধারণ মানুষ যদি সচেতন থাকে, তাহলে এই ধরনের প্রতারকরা কোনোভাবেই সফল হতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলায় মশিউরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।



















