মাটিবাহি ট্রলি থেকে পড়া মাটি, ফাগুনের হঠাৎ সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে কাদা, ঘটছে দূর্ঘটনা
- আপডেট সময় : ০৬:৫৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

ফারুক আহমেদ সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গাসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ পাকা রাস্তার উপর মাটি বহন করা ট্রলি থেকে পড়া মাটি, সামান্য হাঠাৎ ফাগুনের বৃষ্টিতে ভিজে সৃষ্টি হয়েছে কাদা। এতে রাস্তাগুলো কাদা মাটিতে একাকার হয়ে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। মোটরসাইকেলের চাকা স্লীপ করে মারাত্বক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মানুষ।
একারনে ইটভাটা মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীদের উপর ক্ষোভ বেড়েছে পথচারীদের। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫) বিকালে দেখা গেছে- সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা, চারাবটতলা,রৌহদাহ, আমশড়া ঝুরঝুরি, সুতাহাটি মালতিনগর, সামাদমোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে ও তার পাশ্ববর্তী রাস্তাগুলোয় এমন দৃশ্য। এসব রাস্তায় মোটরসাইকেল চালকেরা বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বলে খবর পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার বিকালে সামান্য বৃষ্টির পর থেকে রাস্তাগুলোতে কাদা মাটি ভিজে একাকার হয়ে যায়। ফলে এসব রাস্তা দিয়ে বিকালে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয় মোটরসাইকেল ও ছোট ছোট গাড়ির চালকরা। পাকা রাস্তার উপর ভিজা কাদা-মাটিতে একাকার হয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক মরণ ফাঁদ। এসব রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটে পথ পাড়ি দিতেও চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ- বছরের পর বছর ধরে কতিপয় ইটভাটার মালিক বা মাটি ব্যবসায়ীদের লাইন্সেবিহীন ট্রাক্টর-ডাম্পার, ট্রলি পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি বহন করে থাকে। এই ট্রলি থেকে মাটি পড়ে রাস্তার বেহাল দশার সৃষ্টি হয়। এই মাটি রোদের সময় ধুলা আর বৃষ্টির সময় পিচ্ছিলকর কাদায় পরিনত হয়। এখন সামান্য বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তাগুলো কাদাময় হয়ে পড়েছে। চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেড়েছে দুর্ভোগ। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে এসব রাস্তা এতটাই পিচ্ছিল হয়েছে যে, গাড়ী চলাচল তো দূরের কথা হেটেও চলাচল করা যাচ্ছে না।
আমশড়া জোরপুকুর বাজারের একটু পশ্চিম পাশেই ছুরমানের বাড়ির পাশে সরাপুর গ্রাম থেকে আসা আমশড়া জোরপুকুর বাজারে যাওয়ার পথে এক মোটরসাইকেল চালক সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়ে আহত হয়েছেন। আমশড়া গ্রামের এক মোটরসাইকেল চলক জানান- ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহি যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকিয়ে ধুলা আর বর্ষায় কাঁদা হয়ে থাকে। দেখে বুঝার উপায় থাকে না এটা কার্পেটিং রাস্তা। এতে বছর জুড়েই এই রাস্তায় চলাচল করতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন- জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাগুলোতে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না যায়, আর এ অবস্থা যদি চলতে থাকে, তাহলে এই রাস্তাগুলো মাটি বাহি ট্রলির কারনে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বর্ষা হলেই দূর্ভোগ বেশি বাড়ে। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে মাটি বহন করা ট্রলি চালকদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।



















