ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার ত্রিশালে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিএনএফ শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত জামালপুর পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে র‍্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দিলেন দিনাজপুরে সকল অফিসার ইনচার্জদের বদলি উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত প্রার্থীর মতবিনিময় সভা মনুষ্যত্বের চর্চায় শিক্ষকতা, সত্যের সন্ধানে সাংবাদিকতা’এম নজরুল ইসলাম খান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জব্বারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন গজারিয়া সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন

জয়পুরহাটে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি বন্ধুদের মানববন্ধন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ আল আমিন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাটে মাহমুদুল হাসান পিপাস (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তাদের বন্ধুরা।

 

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা শহরের জিরো পয়েন্টে আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এই দাবি করেন।

 

এর আগে তারা শহরের শহীদ ডা. আবুল কাসেম ময়দান থেকে ‘পিপাসের খুনিদের ফাঁসি চাই’ দাবিতে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বাটারমোড় হয়ে থানা এলাকা ঘুরে জিরো পয়েন্টে এসে শেষ।

 

মাহমুদুল হাসান পিপাস জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে। তিনি জেলা শহরের ধানমন্ডি এলাকায় বসবাস করতেন। একটি ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন পিপাস। গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সদর উপজেলার সতিঘাটা নামক এলাকার একটি নির্জন কবরস্থান থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

‘পিপাসের খুনিদের ফাঁসি চাই’ দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, নিহত পিপাসের বন্ধু তৌহিদুল ইসলাম তপু, হাসানুল হাসান, আসিফ জিয়ন, পিপাসের বড় ভাই মেসবাহুর রহমান প্রিন্স প্রমুখ।

 

তারা বলেন, বাসা থেকে নিখোঁজের পর পিপাসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া গেছে। চিকিৎসা করাতে হবে দাবি করে ১৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু এটি প্রতারণা ছিল। তার সর্বশেষ লোকেশন সদরের ধারকি এলাকায় পাওয়া গেছে। কিন্তু কোন ভাবেই তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। শেষে আমরা তার ঝুলন্ত মরদেহ পেলাম। মরদেহ একটি নির্জন এলাকার কবরস্থানের ইউক্যালিপটাস গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। আমরা এটিকে আত্নহত্যা বলে মনে করি না। এটা হত্যাকাণ্ড, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ফাঁসি চাই।

 

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে। প্রতিবেদনে যদি ‘তাকে মারধর করা হয়েছে’ এরকম কিছু পাওয়া গেলে মামলা হবে।

 

খোলা কাগজ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জয়পুরহাটে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি বন্ধুদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১০:২৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোঃ আল আমিন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাটে মাহমুদুল হাসান পিপাস (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তাদের বন্ধুরা।

 

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা শহরের জিরো পয়েন্টে আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এই দাবি করেন।

 

এর আগে তারা শহরের শহীদ ডা. আবুল কাসেম ময়দান থেকে ‘পিপাসের খুনিদের ফাঁসি চাই’ দাবিতে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বাটারমোড় হয়ে থানা এলাকা ঘুরে জিরো পয়েন্টে এসে শেষ।

 

মাহমুদুল হাসান পিপাস জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে। তিনি জেলা শহরের ধানমন্ডি এলাকায় বসবাস করতেন। একটি ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন পিপাস। গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সদর উপজেলার সতিঘাটা নামক এলাকার একটি নির্জন কবরস্থান থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

‘পিপাসের খুনিদের ফাঁসি চাই’ দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, নিহত পিপাসের বন্ধু তৌহিদুল ইসলাম তপু, হাসানুল হাসান, আসিফ জিয়ন, পিপাসের বড় ভাই মেসবাহুর রহমান প্রিন্স প্রমুখ।

 

তারা বলেন, বাসা থেকে নিখোঁজের পর পিপাসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া গেছে। চিকিৎসা করাতে হবে দাবি করে ১৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু এটি প্রতারণা ছিল। তার সর্বশেষ লোকেশন সদরের ধারকি এলাকায় পাওয়া গেছে। কিন্তু কোন ভাবেই তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। শেষে আমরা তার ঝুলন্ত মরদেহ পেলাম। মরদেহ একটি নির্জন এলাকার কবরস্থানের ইউক্যালিপটাস গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। আমরা এটিকে আত্নহত্যা বলে মনে করি না। এটা হত্যাকাণ্ড, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ফাঁসি চাই।

 

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে। প্রতিবেদনে যদি ‘তাকে মারধর করা হয়েছে’ এরকম কিছু পাওয়া গেলে মামলা হবে।

 

খোলা কাগজ