ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মাথা গোজার ঠায় নেই, খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করে ভূরুঙ্গামারীর শহিদুলের পরিবার ভূরুঙ্গামারীতে বৃদ্ধ মা-বাবাকে মারধর ও বাবার তিনটি দাঁত ভাঙার ঘটনায় দুই ছেলে গ্রেফতার জয়পুরহাটে জাতীয় নাগরিক পার্টির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দিঘলিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার উদ্যোগে এককালীন, আজীবন ও সুধী সদস্য সম্মেলন-২৫ অনুষ্ঠিত হয় চৌদ্দগ্রামে ৮শত প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরন। খুলনায় সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা প্রেসক্লাব দিঘলিয়ার নেতৃবৃন্দ ফুলপুরে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা রকিবুল হাসান সোহেলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ভূরুঙ্গামারীতে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের নতুন কমিটি গঠন ফুলপুরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাবেক এমপি আবুল বাশার আকন্দ জামালপুরে জেলা যুবদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ

মুন্সীগঞ্জে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বে গোলাগুলিতে কিবরিয়া ও কানা জহির নিহত ২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ৭৬ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি – মুন্সিগঞ্জ-চাঁদপুর সীমান্তে মেঘনা নদীতীরে মাটি কেটে বিক্রির ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে কিবরিয়া মিজি ও জহির ইসলাম ওরফে কানা জহিরের গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে ২ জন নিহত হয়েছেন।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাসুদুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ আইয়ুব আলী (৪০) নামের আরও একজনকে গুরুতর অবস্থায় পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

নিহতের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কালিরচর এলাকায় নদীতে গোলাগুলির শব্দ পান তারা।

পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিহত দুইজনের মরদেহ নিয়ে আসে স্বজনরা।

নিহতরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের ভাষানচর এলাকার কামাল ফকিরের পুত্র রাসেল ফকির (৩৩) ও চাঁদপুরের মতলব থানার তুহিন (২৯)।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, কিবরিয়া মিজি ও জহির ইসলাম ওরফে কানা জহির দুজনেই মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের কালিরচর এলাকার বাসিন্দা। মেঘনা নদীতে জেগে উঠা চরের মাটি কেটে বিক্রির ব্যবসা নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোঁঁধ চলছে। প্রায়ই তারা রাতের বেলা নদীতে গোলাগুলিতে জড়ালেও নৌ পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।

 

পুলিশ জানায়, চাঁদাবাজি, বালুদস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে অভিযুক্ত ২ জনের বিরুদ্ধে।

 

নিহতের মা আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘মাটি কাটা নিয়ে কিবরিয়া মিজি আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার ছেলে একজন সাধারণ জেলে।’

 

অভিযোগের বিষয়ে কিবরিয়া মিজি ও জহির ইসলাম ওরফে কানা জহিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘শুনেছি নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। মরদেহগুলো মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল আমরা করবো। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নিবে নৌ পুলিশ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মুন্সীগঞ্জে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বে গোলাগুলিতে কিবরিয়া ও কানা জহির নিহত ২

আপডেট সময় : ০৮:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি – মুন্সিগঞ্জ-চাঁদপুর সীমান্তে মেঘনা নদীতীরে মাটি কেটে বিক্রির ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে কিবরিয়া মিজি ও জহির ইসলাম ওরফে কানা জহিরের গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে ২ জন নিহত হয়েছেন।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাসুদুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ আইয়ুব আলী (৪০) নামের আরও একজনকে গুরুতর অবস্থায় পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

নিহতের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কালিরচর এলাকায় নদীতে গোলাগুলির শব্দ পান তারা।

পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিহত দুইজনের মরদেহ নিয়ে আসে স্বজনরা।

নিহতরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের ভাষানচর এলাকার কামাল ফকিরের পুত্র রাসেল ফকির (৩৩) ও চাঁদপুরের মতলব থানার তুহিন (২৯)।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, কিবরিয়া মিজি ও জহির ইসলাম ওরফে কানা জহির দুজনেই মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের কালিরচর এলাকার বাসিন্দা। মেঘনা নদীতে জেগে উঠা চরের মাটি কেটে বিক্রির ব্যবসা নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোঁঁধ চলছে। প্রায়ই তারা রাতের বেলা নদীতে গোলাগুলিতে জড়ালেও নৌ পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।

 

পুলিশ জানায়, চাঁদাবাজি, বালুদস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে অভিযুক্ত ২ জনের বিরুদ্ধে।

 

নিহতের মা আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘মাটি কাটা নিয়ে কিবরিয়া মিজি আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার ছেলে একজন সাধারণ জেলে।’

 

অভিযোগের বিষয়ে কিবরিয়া মিজি ও জহির ইসলাম ওরফে কানা জহিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘শুনেছি নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। মরদেহগুলো মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল আমরা করবো। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নিবে নৌ পুলিশ।’