ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় নিজেকে নবী দাবিকারী ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ১০১ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসলামী মূল্যবোধ ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে আইনি পদক্ষেপ কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনায় নিজেকে নবী দাবি করায় মোহাম্মদ মমিন নামে এক ব্যক্তিকে আ-ট-ক করেছে দেবীদ্বার থানা পুলিশ। সে দেবীদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী (আলিয়াবাদ) গ্রামের মৃত রশিদ মেম্বারের পুত্র।

সূত্র মতে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আটক মমিন নিজ গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় নিজেকে “আসমানী কিতাব ও ওহিপ্রাপ্ত নবী” হিসেবে প্রচার করে আসছিল। এতে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে আরও ক্ষোভ দেখা দেয়।

এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মমিন তার মুদি দোকানে বসে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথোপকথনের সময় স্পষ্টভাবে বলেন— “আমি নবুওত পেয়েছি, আল্লাহ তায়ালা আমাকে বিশ্ববাসীর জন্য নবী হিসেবে প্রেরণ করেছেন।” এমন স্পর্ধিত ও ধর্মবিরোধী বক্তব্য সামাজিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।

ঘটনার পরপরই দেবীদ্বার থানা পুলিশ সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আ-ট-ক করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, তার মানসিক সুস্থতা যাচাই এবং উদ্দেশ্য অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় তদন্ত চলছে।

এমন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার হলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মত এমন কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে আরও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্বাস মতে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পর আর কোনো নবী আসবেন না এই বিশ্বাস ঈমানের মৌলিক অংশ। তাই ধর্মীয় অজ্ঞানতা ও গোঁড়ামিকে পুঁজি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করাকে কেবল আইন নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও দৃষ্টান্তমূলকভাবে মোকাবিলা করা প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লায় নিজেকে নবী দাবিকারী ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ

আপডেট সময় : ১০:১৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

ইসলামী মূল্যবোধ ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে আইনি পদক্ষেপ কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনায় নিজেকে নবী দাবি করায় মোহাম্মদ মমিন নামে এক ব্যক্তিকে আ-ট-ক করেছে দেবীদ্বার থানা পুলিশ। সে দেবীদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী (আলিয়াবাদ) গ্রামের মৃত রশিদ মেম্বারের পুত্র।

সূত্র মতে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আটক মমিন নিজ গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় নিজেকে “আসমানী কিতাব ও ওহিপ্রাপ্ত নবী” হিসেবে প্রচার করে আসছিল। এতে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে আরও ক্ষোভ দেখা দেয়।

এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মমিন তার মুদি দোকানে বসে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথোপকথনের সময় স্পষ্টভাবে বলেন— “আমি নবুওত পেয়েছি, আল্লাহ তায়ালা আমাকে বিশ্ববাসীর জন্য নবী হিসেবে প্রেরণ করেছেন।” এমন স্পর্ধিত ও ধর্মবিরোধী বক্তব্য সামাজিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।

ঘটনার পরপরই দেবীদ্বার থানা পুলিশ সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আ-ট-ক করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, তার মানসিক সুস্থতা যাচাই এবং উদ্দেশ্য অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় তদন্ত চলছে।

এমন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার হলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মত এমন কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে আরও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্বাস মতে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পর আর কোনো নবী আসবেন না এই বিশ্বাস ঈমানের মৌলিক অংশ। তাই ধর্মীয় অজ্ঞানতা ও গোঁড়ামিকে পুঁজি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করাকে কেবল আইন নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও দৃষ্টান্তমূলকভাবে মোকাবিলা করা প্রয়োজন।