ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার ত্রিশালে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিএনএফ শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত

২ হাজার কোটি টাকা পাচার : সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৪:০১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ৭৬ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম এবং তার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী-এর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী ‘জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সোমবার (১৬ জুন) দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন জানান, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডসহ আরও ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ আদায় করে তা বিদেশে পাচার করেছেন।

জড়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে— ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং এবি ব্যাংক।

দুদক প্রধানের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে দেখা গেছে, সেগুলোর বেশিরভাগই নামসর্বস্ব এবং কার্যত অস্তিত্বহীন। অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানের নামে শুধুমাত্র কাগজে-কলমে ব্যবসা দেখানো হলেও বাস্তবে সেগুলোর কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম ছিল না।

দুদক জানিয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি বিশেষ অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। এই দলে দুদকের অভিজ্ঞ অনুসন্ধান কর্মকর্তারা ছাড়াও অর্থ পাচারবিরোধী তদন্তে দক্ষ কয়েকজন উপপরিচালক থাকবেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠাব। অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে বলেই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২ হাজার কোটি টাকা পাচার : সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

আপডেট সময় : ০৪:০১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম এবং তার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী-এর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী ‘জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সোমবার (১৬ জুন) দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন জানান, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডসহ আরও ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ আদায় করে তা বিদেশে পাচার করেছেন।

জড়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে— ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং এবি ব্যাংক।

দুদক প্রধানের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে দেখা গেছে, সেগুলোর বেশিরভাগই নামসর্বস্ব এবং কার্যত অস্তিত্বহীন। অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানের নামে শুধুমাত্র কাগজে-কলমে ব্যবসা দেখানো হলেও বাস্তবে সেগুলোর কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম ছিল না।

দুদক জানিয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি বিশেষ অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। এই দলে দুদকের অভিজ্ঞ অনুসন্ধান কর্মকর্তারা ছাড়াও অর্থ পাচারবিরোধী তদন্তে দক্ষ কয়েকজন উপপরিচালক থাকবেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠাব। অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে বলেই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।”