দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে দুই পুত্রবধূ
- আপডেট সময় : ০৫:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে প্রায় চার মাস পর দেশে ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সঙ্গে ফিরেছেন তাঁর দুই পুত্রবধূও। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিমানবন্দরে চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত আছেন। বিমাবন্দর গেট থেকে বাইরের সড়ক পর্যন্ত তাঁকে স্বাগত জানাতে নেতা–কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। হাত নেড়ে, স্লোগানে দলীয় চেয়ারপারসনকে বরণ করছেন তাঁরা।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ছাড়ে কাতার আমিরের দেওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান তাঁর ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
লন্ডন থেকে ঢাকা আসার পথে কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি দেন খালেদা জিয়া ও তাঁর সফরসঙ্গীরা। বিরতি শেষে মঙ্গলবার ভোর ৬টা ৫ মিনিটে ফের ঢাকার পথে রওনা হন তাঁরা। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরো পথে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীদের।
আজ সকাল থেকেই দলীয় চেয়ারপারসনকে বরণ করতে প্রস্তুতি শুরু করে বিএনপি। বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় জমান নেতা–কর্মীরা। দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে সঙ্গে ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে এসেছেন তাঁরা। দিচ্ছেন নানা স্লোগান। ওই এলাকায় যানবাহনের চাপও বেড়েছে। পুরো এলাকায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আজ সকাল থেকেই দলীয় চেয়ারপারসনকে বরণ করতে প্রস্তুতি শুরু করে বিএনপি। বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় জমান নেতা–কর্মীরা। দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে সঙ্গে ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে এসেছেন তাঁরা। দিচ্ছেন নানা স্লোগান। ওই এলাকায় যানবাহনের চাপও বেড়েছে। পুরো এলাকায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশা, আগের মতোই দলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সকালে বিমানবন্দর এলাকায় সাংবাদিকদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খুব উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে দলের নেতা–কর্মীদের মধ্যে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে আরও সহজ করবে।
এদিকে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। স্বামীর সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। আর খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান বেশ কয়েকবার দেশে এসেছেন। সর্বশেষ তাঁর মায়ের অসুস্থতার সময়ে দেশে ফিরেছিলেন। পরে গত ২৯ এপ্রিল তিনি লন্ডনে ফিরে যান।
লন্ডন ক্লিনিকে উন্নত চিকিৎসা ও ছেলে তারেক রহমানের পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগের উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত পথে পথে বিএনপি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হয়েছেন নেতা–কর্মীরা। দল ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীর মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন এবং তাঁদের করণীয় বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয় আগে থেকেই।
দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২০১৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এর পর কয়েক দফা তাঁর দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার রায় বাতিল করে আদালত।

























