ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার ত্রিশালে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিএনএফ শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত জামালপুর পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে র‍্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দিলেন দিনাজপুরে সকল অফিসার ইনচার্জদের বদলি উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত প্রার্থীর মতবিনিময় সভা মনুষ্যত্বের চর্চায় শিক্ষকতা, সত্যের সন্ধানে সাংবাদিকতা’এম নজরুল ইসলাম খান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জব্বারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন গজারিয়া সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন কেশবপুরে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা  প্রতিরোধ বিষয়ক এক দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মোরেলগঞ্জে কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত

বিগত সরকারের আমলে দেয়া গণমাধ্যমের লাইসেন্স তদন্ত করা হবে- তথ্য উপদেষ্টা

জে বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দেয়া গণমাধ্যমের লাইসেন্সগুলো তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। আজ (৫ মে) জাতীয় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরে “ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন” শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

মাহফুজ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেসব গণমাধ্যম লাইসেন্স পেয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হবে। ভুয়া সাংবাদিকদের খুঁজে বের করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারকে প্রশ্ন করতে হবে, কারণ সরকারকে প্রশ্ন করলে সরকার আরও দায়িত্বশীল হয়। তবে প্রশ্ন আর প্রোপাগান্ডা এক জিনিস নয়।

 

তিনি কিছু গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, বেশ কয়েকটি পত্রিকা এখনও ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ না লিখে ‘ক্ষমতার পটপরিবর্তন’ বলে উল্লেখ করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এত বড় একটি রাজনৈতিক ঘটনা যদি শুধুই ‘আন্দোলন’ নামে চালানো হয়, তাহলে সেটা হতাশাজনক ও গণমাধ্যমের দায়িত্বহীনতা প্রকাশ করে।

 

মাহফুজ আলম স্পষ্ট করেন যে, সরকার কোনও সংবাদমাধ্যমকে আঘাত করতে দেবে না এবং কেউ যদি হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়, সেসব মামলাও পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যত মামলা হয়েছে, সবগুলো তদন্ত করে দেখা হবে।

 

সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে তিনি বলেন, কোন সাংবাদিকের চাকরি গেলে সেটা নিয়ম মেনেই হতে হবে। হঠাৎ করে কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “দীপ্ত টিভি বন্ধ করেছে মালিকপক্ষ, অথচ সাধারণ মানুষ ভাবছে সরকার করেছে। এটা হঠকারিতা। সরকার চাইছে না কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হোক। তবে সংবাদমাধ্যম কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

 

আওয়ামী লীগের শাসনামলকে ‘ফ্যাসিবাদী অধ্যায়’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, আমাদের স্মৃতিতে সবসময় ফ্যাসিবাদকে ভয়ংকরভাবে ধরে রাখতে হবে, না হলে মানুষ এই কালো অধ্যায় ভুলে যাবে। তিনি বলেন, শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার শাসনামল কোনো কালের সাথেই মিলে না। এরশাদ স্বৈরাচার হলেও শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বলা হয়, কারণ এরশাদের জনবল কম ছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকবল ছিল সবখানে—এই কারণে তারা সর্বব্যাপী ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পেরেছে।

 

শেখ হাসিনার ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী পলাতক, এর পেছনে দায়ী শেখ হাসিনা। তিনি শেখ পরিবারের সর্বশেষ সদস্য যিনি পালিয়ে গেছেন। এর আগে এই পরিবারের সবাই পালিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিগত সরকারের আমলে দেয়া গণমাধ্যমের লাইসেন্স তদন্ত করা হবে- তথ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০১:০৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দেয়া গণমাধ্যমের লাইসেন্সগুলো তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। আজ (৫ মে) জাতীয় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরে “ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন” শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

মাহফুজ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেসব গণমাধ্যম লাইসেন্স পেয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হবে। ভুয়া সাংবাদিকদের খুঁজে বের করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারকে প্রশ্ন করতে হবে, কারণ সরকারকে প্রশ্ন করলে সরকার আরও দায়িত্বশীল হয়। তবে প্রশ্ন আর প্রোপাগান্ডা এক জিনিস নয়।

 

তিনি কিছু গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, বেশ কয়েকটি পত্রিকা এখনও ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ না লিখে ‘ক্ষমতার পটপরিবর্তন’ বলে উল্লেখ করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এত বড় একটি রাজনৈতিক ঘটনা যদি শুধুই ‘আন্দোলন’ নামে চালানো হয়, তাহলে সেটা হতাশাজনক ও গণমাধ্যমের দায়িত্বহীনতা প্রকাশ করে।

 

মাহফুজ আলম স্পষ্ট করেন যে, সরকার কোনও সংবাদমাধ্যমকে আঘাত করতে দেবে না এবং কেউ যদি হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়, সেসব মামলাও পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যত মামলা হয়েছে, সবগুলো তদন্ত করে দেখা হবে।

 

সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে তিনি বলেন, কোন সাংবাদিকের চাকরি গেলে সেটা নিয়ম মেনেই হতে হবে। হঠাৎ করে কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “দীপ্ত টিভি বন্ধ করেছে মালিকপক্ষ, অথচ সাধারণ মানুষ ভাবছে সরকার করেছে। এটা হঠকারিতা। সরকার চাইছে না কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হোক। তবে সংবাদমাধ্যম কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

 

আওয়ামী লীগের শাসনামলকে ‘ফ্যাসিবাদী অধ্যায়’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, আমাদের স্মৃতিতে সবসময় ফ্যাসিবাদকে ভয়ংকরভাবে ধরে রাখতে হবে, না হলে মানুষ এই কালো অধ্যায় ভুলে যাবে। তিনি বলেন, শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার শাসনামল কোনো কালের সাথেই মিলে না। এরশাদ স্বৈরাচার হলেও শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বলা হয়, কারণ এরশাদের জনবল কম ছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকবল ছিল সবখানে—এই কারণে তারা সর্বব্যাপী ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পেরেছে।

 

শেখ হাসিনার ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী পলাতক, এর পেছনে দায়ী শেখ হাসিনা। তিনি শেখ পরিবারের সর্বশেষ সদস্য যিনি পালিয়ে গেছেন। এর আগে এই পরিবারের সবাই পালিয়েছেন।