ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রক্ষাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও বরিশালের বাউল ছালমা দর্শক মাতালেন মাদারীপুরে জামালপুর সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত এনপিএসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায়  ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু ১১ ডিসেম্বর কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার নাগরিক প্লাটফম এর সদস্যদের নাগরিকদের অধিকার ও প্রাপ্যতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক কেশবপুরের মঙ্গলকোটে সোনাতন ধর্মালম্বীদের  সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মতবিনিময় মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দুমকি উপজেলায়, যৌতুক মামলার প্রধান আসামি বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার

কাঠালিয়ায় বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ১৩০ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মোঃ মাছুম বিল্লাহ, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের রুহুল আমিনকে (৫০) আপন বড়ভাই ফিরোজ হাওলাদারকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে আদালত।

 

রুহুল উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ রহিবুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে আজ বুধবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।

 

মামলার নথিসূত্র ও বেঞ্চ সহকারী মাসুদ পারভেজের সাথে কথা বলে যানা যায় ইতোপূর্বে কাঠালিয়া গ্রামীণ ব্যাংক শাখার মাঠকর্মী মোঃ মজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে যাবৎজীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল রুহুল আমিন। ভাইয়ের হত্যা ঘটনার ৯ মাস পূর্বে সাজাভোগ করে সে গ্রামের বাড়িতে আসে।

 

ভাই-বোনদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে মতবিরোধ হওয়ায় গত ২৩/৯/২০২২ তারিখ তার বড়ভাই ফিরোজ হাওলাদার ঘরের টিন খুলতে গেলে রুহুল আমিন বাঁধা দেয় একই দিন সন্ধ্যায় ফিরোজ হাওলাদারের উপর রুহুল আমিন  আক্রমণ চালিয়ে

 

দাও দিয়ে কুপিয়ে ফিরোজ হাওলাদারকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। আহত ফিরোজকে প্রথমে কাঠালিয়া হাসপাতালে পরে বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তির করার পরে ঐদিনই রাত ১১টায় তার মৃত্যু হয়।

 

এই ঘটনায় ফিরোজ হাওলাদারের স্ত্রী রানী বেগম বাদি হয়ে কাঠালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামী রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাইউম বাহাদুর ২০/০১/২০২৪ তারিখ আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। আদালত ১২জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাসিতে ঝুলিয়ে রাখার কথা বলা হয়।

 

মামলার বাদী রানী বেগম জানান, এ রায় আমরা সন্তুষ্ট দ্রুত রায় কার্যকারের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

 

রাষ্ট্রপক্ষে পিপি মো. মাহেব হোসেন ও আসামী পক্ষে খান শহিদুল ইসলাম মামলা পচিালনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কাঠালিয়ায় বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ১১:৪৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

 

মোঃ মাছুম বিল্লাহ, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের রুহুল আমিনকে (৫০) আপন বড়ভাই ফিরোজ হাওলাদারকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে আদালত।

 

রুহুল উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ রহিবুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে আজ বুধবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।

 

মামলার নথিসূত্র ও বেঞ্চ সহকারী মাসুদ পারভেজের সাথে কথা বলে যানা যায় ইতোপূর্বে কাঠালিয়া গ্রামীণ ব্যাংক শাখার মাঠকর্মী মোঃ মজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে যাবৎজীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল রুহুল আমিন। ভাইয়ের হত্যা ঘটনার ৯ মাস পূর্বে সাজাভোগ করে সে গ্রামের বাড়িতে আসে।

 

ভাই-বোনদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে মতবিরোধ হওয়ায় গত ২৩/৯/২০২২ তারিখ তার বড়ভাই ফিরোজ হাওলাদার ঘরের টিন খুলতে গেলে রুহুল আমিন বাঁধা দেয় একই দিন সন্ধ্যায় ফিরোজ হাওলাদারের উপর রুহুল আমিন  আক্রমণ চালিয়ে

 

দাও দিয়ে কুপিয়ে ফিরোজ হাওলাদারকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। আহত ফিরোজকে প্রথমে কাঠালিয়া হাসপাতালে পরে বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তির করার পরে ঐদিনই রাত ১১টায় তার মৃত্যু হয়।

 

এই ঘটনায় ফিরোজ হাওলাদারের স্ত্রী রানী বেগম বাদি হয়ে কাঠালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামী রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাইউম বাহাদুর ২০/০১/২০২৪ তারিখ আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। আদালত ১২জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাসিতে ঝুলিয়ে রাখার কথা বলা হয়।

 

মামলার বাদী রানী বেগম জানান, এ রায় আমরা সন্তুষ্ট দ্রুত রায় কার্যকারের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

 

রাষ্ট্রপক্ষে পিপি মো. মাহেব হোসেন ও আসামী পক্ষে খান শহিদুল ইসলাম মামলা পচিালনা করেন।