ফুলপুরে ছাগলে ধানক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাসলিমা গুরুতর আহত আটক মহিদুল
- আপডেট সময় : ০১:৪২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

মোঃ কামরুল ইসলাম খান ফুলপুর(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ
এই সমাজে ঘটে যাওয়া ছোট্ট খাটো ঘটনা কে কেন্দ্র করে ঘটে যায় বড় ধরনের দূর ঘটনা। কেউ হারায় জীবন কেউ হারায় চিরতরে পরিবারের সদস্যকে। তেমনি একটি ঘটনা ছাগল ধান ক্ষেত খাওয়া কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় জখন করেন তাসলিমা বেগম(৪২) নামের এক নারীকে। এসময় আরো আহত হয় তার স্বামী এনামুল কবির(৫৫) ও তাসলিমার ছেলে রায়হান হাসান(২০)। এ ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রামভ্রপুর ইউনিয়নের ঝাটিয়া গ্রামে।
আটককৃত আসামি মহিদুল ইসলাম (৩৫) উপজেলার রামভ্রপুর ইউনিয়নের ঝাটিয়া গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, তাসলিমা বেগমের একটি ছাগল তার দেবর শফিকুল ইসলামের ধান ক্ষেত খাওয়া কে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার দুপুর ২টায় চাচা ও চাচাতো ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয় পরিবারের লোক জনের সাথে । একপর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় এনামুল কবিরের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে গুরুতর জখম হয় এবং রক্ত পড়তে থাকে। এসময় এনামুল কবির ও রায়হান গুরুতর আহত হয় । প্রথমে ফুলপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসলিমার অবস্থা গুরুতর দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা সিদ্ধান্ত নেন এবং এনামুলকে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন। তবে আহত তাসলিমাকে পরিবারের অনুরোধে অত্র হাসপাতালেই চিকিৎসা দেন চিকিৎকগণ । এ সময় তাসলিমার মাথায় বেশ কয়েকটি সিলি দেওয়া হয়। পরে স্বামী এনামুলকে তিন দিন রেখে ছুটি দিয়ে দিলেও ৯দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকেন তাসলিমা বেগম। এছাড়াও তার মাথার সিলাই খুলেন আরো ৪দিন পর। আহত ছোট ছেলে রায়হান এলাকা থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় আহতের বড় ছেলে সাব্বির হাসান (২১) বাদী হয়ে ফুলপুর থানায় মামলা মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফুলপুর থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম বলেন, এ ঘটনায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২/৩ জন অজ্ঞাত রেখে থানা একটি অভিযোগ দায়ের করে আহতের বড় ছেলে সাব্বির হাসান। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্যারের দিকনির্দেশনায় উক্ত অভিযোগ তদন্ত করি। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ১ নং আসামি মহিদুল ইসলাম (৩৫)কে শনিবার বিকাল ৫ টায় তার শ্বশুর বাড়ি রামভ্রপুর ইউনিয়নের গোয়াডাঙ্গা থেকে আটক করা হয়েছে। এসময় এস আই শামীম বলেন রবিবার(৭ ডিসেম্বর) আসামি কে বীজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।


















