ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিবগঞ্জে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত প্রার্থীর মতবিনিময় সভা মনুষ্যত্বের চর্চায় শিক্ষকতা, সত্যের সন্ধানে সাংবাদিকতা’এম নজরুল ইসলাম খান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জব্বারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন গজারিয়া সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন কেশবপুরে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা  প্রতিরোধ বিষয়ক এক দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মোরেলগঞ্জে কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফুলপুরে ছাগলে ধানক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাসলিমা গুরুতর আহত আটক মহিদুল রামপালে বাক প্রতিবন্ধী দিপালী শীল কে ঘর নির্মাণ করে দিলেন  লায়ন ড. ফরিদ পটুয়াখালী ভার্সিটির, এএনএসভিএম অনুষদে নষ্ট অধিকাংশ প্রজেক্টর, নেই সাউন্ড সিস্টেম: চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় নিহত আবুল কালাম আজাদের পরিবারকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার সহায়তা

দুমকি উপজেলায়, প্রতিবন্ধী ভাতা ও টিউবওয়েল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

জাকির হোসেন হাওলাদার। দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
Jbangla.com অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

 

 

জাকির হোসেন হাওলাদার। দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

 

 

 

পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য রেজওয়ানা নাসরিন মালার বিরুদ্ধে টিউবওয়েল দেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ সিমা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগে বলা হয়েছে, দুই বছর আগে ইউপি সদস্য টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে সিমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু দুই বছরেও টিউবওয়েল না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে নানা টালবাহানার পর ২০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি ১০ হাজার টাকা ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। এছাড়া সিমার প্রতিবন্ধী স্বামী মিরাজের ভাতার ১২ হাজার ৩০০ টাকাও ইউপি সদস্যের মোবাইল সিম নম্বর ব্যবহার করে তোলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।ভুক্তভোগী সিমা বেগম বলেন, “টিউবওয়েল পাইনি, টাকা ফেরতও দেননি। স্বামীর ভাতার টাকাও দিচ্ছেন না।” স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়নে ভাতার কার্ডের নামে এমন অভিযোগ নতুন নয়। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রেজওয়ানা নাসরিন মালা ২৮ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “বরাদ্দ না পাওয়ায় টিউবওয়েল দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে টাকা ফেরত দিয়েছি। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকাও যথাসময়ে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. এজাজুল হক বলেন, “অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভিযোগ যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান সোহরাব বলেন, “পক্ষদ্বয়কে ডাকা হয়েছে। গ্রাম আদালতের নির্ধারিত তারিখে উভয়ের বক্তব্য শুনে অভিযোগের সুরাহার চেষ্টা করা হবে।।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দুমকি উপজেলায়, প্রতিবন্ধী ভাতা ও টিউবওয়েল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

 

 

 

 

জাকির হোসেন হাওলাদার। দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

 

 

 

পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য রেজওয়ানা নাসরিন মালার বিরুদ্ধে টিউবওয়েল দেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ সিমা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগে বলা হয়েছে, দুই বছর আগে ইউপি সদস্য টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে সিমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু দুই বছরেও টিউবওয়েল না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে নানা টালবাহানার পর ২০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি ১০ হাজার টাকা ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। এছাড়া সিমার প্রতিবন্ধী স্বামী মিরাজের ভাতার ১২ হাজার ৩০০ টাকাও ইউপি সদস্যের মোবাইল সিম নম্বর ব্যবহার করে তোলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।ভুক্তভোগী সিমা বেগম বলেন, “টিউবওয়েল পাইনি, টাকা ফেরতও দেননি। স্বামীর ভাতার টাকাও দিচ্ছেন না।” স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়নে ভাতার কার্ডের নামে এমন অভিযোগ নতুন নয়। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রেজওয়ানা নাসরিন মালা ২৮ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “বরাদ্দ না পাওয়ায় টিউবওয়েল দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে টাকা ফেরত দিয়েছি। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকাও যথাসময়ে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. এজাজুল হক বলেন, “অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভিযোগ যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান সোহরাব বলেন, “পক্ষদ্বয়কে ডাকা হয়েছে। গ্রাম আদালতের নির্ধারিত তারিখে উভয়ের বক্তব্য শুনে অভিযোগের সুরাহার চেষ্টা করা হবে।।